এই প্রাক্তন সভাপতি বলেন, সহিষ্ণুতা এ দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য
হাইলাইটস
- নেতৃত্বকে আরও একবার বার্তা দিলেন মোদী মন্ত্রিসভার সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী
- পরাজয়ের জন্য বিজেপি সভাপতিকে নিশানা করলেন তিনি
- আইবি-র গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইঙ্গিতবহ মন্তব্য করেন গড়করি
নিউ দিল্লি: কয়েকদিন আগে তিনি বলেছিলেন নির্বাচনে পরাজয়ের দাবি নিতে হবে নেতৃত্বকেই। সেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করি সোমবার দিল্লির এক অনুষ্ঠানে বলেছেন সাংসদরা কাজ না করলে তার দায় নিতে হবে দলের সভাপতিকেই। রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ মনে করছে এভাবে দলীয় নেতৃত্বকে আরও একবার বার্তা দিলেন মোদী মন্ত্রিসভার সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আইবি-র গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই মন্তব্য করেন গড়করি। তিনি বলেন, ‘ভাল করে দেখলে বোঝা যাবে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে সাফল্য পেয়েছে সেটা দক্ষ আইএএস এবং আইপিএসদের জন্য। ভাল করে প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি কাজ। আমি মনে করি মোটের উপর আইএএস এবং আইপিএসরা সততার সঙ্গে নিজেদের কাজ করেন।' এরপরই রাজনৈতিক বিষয়কে যুক্ত করে গড়করি বলেন, যদি দেখা যায় আমি যে দলের সভাপতি সেখানকার সাংসদরা কাজ করছেন না, তাহলে তার দায় আমাকেই নিতে হবে। অনেকেই মনে করছেন এভাবে ছত্তিশগড় মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে পরাজয়ের জন্য বিজেপি সভাপতিকে নিশানা করলেন তিনি। এই অনুষ্ঠানেই বিজেপির এই প্রাক্তন সভাপতি বলেন, সহিষ্ণুতা এ দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
বড়দিনে রোদ্দুরের দেশে চলে গেলেন অমলকান্তির স্রষ্টা নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
নিজের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কথা উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন,নেহরু মনে করতেন দেশের কোনও নাগরিকেরই নিজেকে সমস্যা মনে করা উচিত নয়। আমিও সেটাই মনে করি। মানুষ যদি নিজেকে সমস্যা না ভাবে তাহলে দেশের অনেক সমস্যাই মিটে যাবে। তিন রাজ্যে নির্বাচনী বিপর্যয়ের পর মোদী মন্ত্রিসভার এই সদস্য বলেন, নির্বাচনে পরাজয়ের দায়িত্ব নিতে হবে নেতৃত্বকেই। সাফল্যকে যেভাবে গ্রহণ করা হয় সেভাবেই ব্যর্থতাকে স্বীকার করে নেওয়া উচিত। কিন্তু সেটা কেউ করে না। সাফল্য এলে কৃতিত্ব দাবি করার জন্য লোকের অভাব হয় না। কিন্তু ব্যর্থতা এলেই একে অপরকে দোষ দেওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়।