আন্তর্জাতিক যোগ দিবস: প্রতিদিনের মতো মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার যোগ ব্যায়াম দিয়েই নিজের দিনটা শুরু করেছিলেন
পাটনা:
টানা তিন বছর ধরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং তাঁর দল গোটা দেশ জুড়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের কোনও অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থাকেননি। কিন্তু, সেই সময় তাঁরা ছিলেন বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। এই বছর জল্পনা ছিল যে, গত বছরের জুলাইতে আবার বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানো নীতিশ কুমার তাঁর জোট শরিকের দ্বারা আয়োজিত যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে নিশ্চয়ই উপস্থিত থাকবেন।
নীতিশ কুমারকে ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানান তাঁর সরকারের উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি। তিনি পাটনাতে সবথেকে বড়ো যোগ সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেন নীতিশ কুমারকে।সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠান, যার উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক, সেটির মূল উদ্যোক্তা নীতিশ কুমার সরকারের মন্ত্রিসভার দুই বিভাগ।
কিন্তু, প্রায় সকলকে অবাক করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার অথবা তাঁর দল জনতা দল ইউনাইটেড ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেননি।
নীতিশ কুমারের এই মেগা ইভেন্টে অনুপস্থিতি তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সহ আরও বেশ কিছু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একাসনে বসিয়ে দিল। যে মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁর মতোই এই যোগ দিবসের অনুষ্ঠানকে এড়িয়ে গিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক তাসটি ব্যবহার করলেন।
তাঁর দলের নেতাদের মতে, এই অনুপস্থিতির মাধ্যমে নীতিশ কুমার বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদিকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন যে জোটশরিক হলেও তাঁর কাছ থেকে কোনও বিশেষ সুবিধা আশা না করাই ভালো। নীতিশ কুমার নিজের রাজ্যের জন্য যে বিশেষ অর্থনৈতিক সহায়তা চেয়েছিলেন, তা মোদি তাঁকে দিতে অস্বীকার করেছিলেন। এই দুই জোটশরিকের মধ্যে আগামী লোকসভা নির্বাচনের টিকিট বিতরণ নিয়েও ঘোরতর ছায়াযুদ্ধ চলছে এখন। নীতিশ কুমারের এই সিদ্ধান্তের পিছনে তাই যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
যদিও, বিজেপি আর জেডিইউ নেতারা এই বিষয় নিয়ে সম্পূর্ণ দু'রকম ব্যাখা দিচ্ছেন।
উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি এই বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন এই ব্যাপারটিকে এত বড়ো করে দেখার কিছু নেই। খুব সাংঘাতিক দুশ্চিন্তার কোনও ব্যাপার নয় এটা। তিনি বলেন, বহু বিজেপি নেতাও যোগ দিবসের এই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।