This Article is From May 11, 2018

লালুর ছেলের বিয়ের 10000 অতিথিদের মধ্যে নীতিশ কুমার ও সুশীল মোদিও আছেন

লালুপ্রসাদ যাদব ছেলের বিয়ে উপলক্ষে তিনদিনের প্যারোলে ছাড়া পেয়েছেন গত মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলা

লালুর ছেলের বিয়ের 10000 অতিথিদের মধ্যে নীতিশ কুমার ও সুশীল মোদিও আছেন

লালুকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিল গোটা পরিবার

পাটনা: তেজপ্রতাপ যাদবের বিয়ের অনুষ্ঠানটিতে গত মাসে থাকতে পারেননি লালুপ্রসাদ যাদব। 69 বছর বয়সী বর্ষীয়ান এই নেতা নব্বই দশকের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারী মামলায় বেশ কয়েকদিন জেলে কাটিয়ে ছেলের বিয়ে উপলক্ষে তিন দিনের প্যারোলে ছাড়া পেয়েছেন গত মঙ্গলবার সন্ধ্যে বেলা।
তেজপ্রতাপ যাদব বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন জনতা দলের ছ’বারের বিধায়ক এবং লালুর সঙ্গে একটি দীর্ঘ সময় ধরে ক্যাবিনেট মন্ত্রকে কাজ করা চন্দ্রিকা রায়ের কন্যা ঐশ্বর্য রায়ের সঙ্গে। পাটনার এক হোটেলে 200 অতিথির সামনে আংটিবদল হয় এই যুব-দম্পতির।
এই বিয়ে নিয়ে গোটা শহর তথা রাজ্যেই আগ্রহ একেবারে তুঙ্গে। লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারের এক সদস্য জানান, আমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যা কয়েক হাজার। অন্য আরেকটি সূত্র থেকে জানা যায় যে, এই সংখ্যাটি প্রায় 10,000-এর কাছাকাছি। আমন্ত্রিতের তালিকায় গোটা দেশের সমস্ত বড়ো রাজনৈতিক নেতা যেমন আছেন, তেমনই আছেন লালুপ্রসাদ যাদবের রাজনৈতিক শত্রুরাও।
মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার, যিনি লালুপ্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টি এবং কংগ্রেসের জোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে নিজে একাই এগোতে আরম্ভ করেন, এবং যিনি লালুপ্রসাদের ঘোষিত শত্রু, তিনিও আছেন আমন্ত্রিতদের তালিকায়। আছেন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদিও, যে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালুপ্রসাদের বিরূদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে লেলিয়ে দেওয়ার অন্যতম কাণ্ডারী।
রাজনৈতিকভাবে বৈরিতা থাকা সত্ত্বেও, সুশীল কুমার মোদির ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে দু’ঘন্টা থেকে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করে এসেছিলেন লালুপ্রসাদ। মোদিও এই সৌজন্যের পুনরাবৃত্তি করবেন বলেই আশা করা যায়।
তবে, লালু যাদব ছেলের বিয়ের জন্য ছাড়া পেলেও, প্যারোলের শর্ত যে কোনওভাবেই লঙ্ঘন করতে পারবেন না, তা জানান কারাধক্ষ্য।
পাটনাতে থাকলেও, বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে লালুপ্রসাদের উপর। তিনি বাড়ি থেকে অথবা বিয়ের আসর থেকে বেরোতে পারবেন না। মিডিয়া বা দলের সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। এর অন্যথা হলে তাঁর জায়গা হবে রাঁচির বিরসা মুন্ডা জেলে।
“প্যারোলে ছাড়া পেলেও, ওরা লালুর হাত-পা বেঁধে রেখেছে”- রাষ্ট্রীয় জনতা দলের শিবানন্দ তিওয়ারি প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে সংবাদমাধ্যমকে এই কথা বলেন। যা শুনে উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেন এই বলে যে, লালুর ওপর যে শর্তগুলো চাপানো হয়েছে, তা আসলে ভালোর জন্যই। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মোট চারটি মামলায়।
যদিও, লালুপ্রসাদ যাদবকে এইভাবে কবেই বা বেঁধে ফেলা গিয়েছিল! বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়িতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই নাতি-নাতনিরা শ্লোগান দিতে আরম্ভ করে “নানাজি জিন্দাবাদ”!
শ্লোগান শুনে তিনি দৃশ্যতই অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারী মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে লালুপ্রসাদ যাদব বিরসা মুন্ডা জেলেই কাটান চার মাস। গত মার্চ মাসে, তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার পর প্রধান বিচারপতি দু’দফায় সাত বছর করে জেল-হেফাজতের নির্দেশ দেন। এটি তাঁর বিরূদ্ধে হওয়া চতুর্থ মামলার শাস্তি, যার জন্য তিনি এখন জেল খাটছেন। তাঁর বিরূদ্ধে আরও বেশ কিছু মামলা এখনও আদালতে চলছে।

 
 

.