ছটপুজো পরবর্তী রবীন্দ্র সরোবরের জলে মরা কচ্ছপ ও মাছের দেহ ঘিরে বিতর্ক ঘনিয়েছে।
ছটপুজোর (Chhath) পরে রবীন্দ্র সরোবরের (Rabindra Sarobar) জল দূষিত (Pollution) হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সরোবরের জলজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন পরিবেশবিদরা। কিন্তু মঙ্গলবার রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড জানিয়ে দিল, ছটপুজো পরবর্তী রবীন্দ্র সরোবরের জলে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। বোর্ডের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, ২ ও ৩ নভেম্বর সরোবর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়ে ছিল। ওই দু'দিনই উৎসব পালন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। কিন্তু সেই নমুনায় কলিফর্ম লেভেল (মানুষ ও পশুর বর্জ্যে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া) সীমার মধ্যেই রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ওই দু'দিন জলে প্রাপ্ত কলিফর্মের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২৩০০ এমডিএন (প্রতি ১০০ এমএলে) এবং ১৩০০ এমডিএন।''
দেশের বৃহত্তম নোনা হ্রদের ধারে হাজারে হাজারে পাখির লাশ! ঘাতক দূষণ না অন্য কিছু?
তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা কোনও অস্বাভাবিক পরিবর্তন নয়। কলিফর্ম স্তরের বৃদ্ধির পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। কেবল ছটপুজো নয়। এই রিডিং থেকে বোঝা যাচ্ছে, ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ সীমার মধ্যেই রয়েছে। শহরের বহু জলাশয়েই ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ ওই স্তরেই রয়েছে।''
পাশাপাশি জলে অক্সিজেনের চাহিদা তথা বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড বা বিওডি-র পরিমাণও ভীতিপ্রদ নয় বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন। ওই সরোবরের দায়িত্ব কেএমডিএ-র। তাদের কাছে ওই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাম মন্দিরের ট্রাস্টের প্রধান হোন যোগী আদিত্যনাথ, চায় রাম জন্মভূমি ন্যাস
এমাসের শুরুতে রবীন্দ্র সরোবর চত্বরে জোর করে প্রবেশ করে হাজার হাজার মানুষ। গেটের তালা ভেঙে ছট পালন করতে তাঁরা উপস্থিত হন সরোবরে।
পরের দিনই এক কচ্ছপ ভেসে উঠতে দেখা যায় সরোবরের জলে। সেই সঙ্গে মরা মাছও। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক।
এই রিপোর্টকে ‘‘অসম্পূর্ণ'' বলে দাবি করলেন পরিবেশবিদ এসএম ঘোষ। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘এটা একটা অসম্পূর্ণ রিপোর্ট। ওঁদের উচিত ছিল ৪০০ মিটারের ব্যাপ্তি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা। কিন্তু ওঁরা কেবল তীর থেকেই নমুনা সংগ্রহ করেছেন।''
প্রসঙ্গত, এসএম ঘোষ একজন স্থানীয় বাসিন্দাও বটে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)