এবার রাজ্যে সেই লকডাউনের মেয়াদ বেড়ে হয়েছে ৩০ এপ্রিল।(প্রতীকি ছবি)
কলকাতা: চলছে লকডাউন, ফলে বাড়ি ফিরতে পারেননি রাজ্যের অনেক পরিবহণ কর্মী । বাসের মধ্যেই তাঁরা গত ২০ দিন ধরে দিন গুজরান করছেন। এবার রাজ্যে সেই লকডাউনের মেয়াদ বেড়ে হয়েছে ৩০ এপ্রিল। এই সিদ্ধান্তের জেরে আরও বিপাকেসেই পরিবহণ কর্মীরা। তাই সুরাহার খোঁজে এবার তাঁরা সরকারের দ্বারস্থ। বাস মালিক সংগঠনের সাহায্যে প্রয়োজনীয় খাবার ও চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে আবেদন করলেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, গত ২০ দিন ধরেই আশ্রয় না পেয়ে কোনওমতেই বাসেই জীবন কাটাচ্ছেন সেই পরিবহণ শ্রমিকরা। রয়েছেন চালক, হেল্পার ও কন্ডাক্টর। বাস ও মিনিবাস সংগঠন সুত্রে এমনটাই খবর। মিনি বাস সংগঠনের সচিব রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড আর বিহার থেকে শয়ে শয়ে বাস মার্চের ২০-২১ তারিখ গন্তব্যের দিকে রওনা দিয়েছিল। সেই বাসের মধ্যে কয়েকটা বাস সময়ে পৌঁছতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ডিপোতে। ২৩ তারিখ থেকে রাজ্যে লাগু হয় লকডাউন (Amid Lockdown)। ফলে যে, যেখানে ছিলেন সেখানেই দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বাস। প্রাথমিক ভাবে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বাস শ্রমিকদের খাবার ও মৌলিক চাহিদা মেটালেও, এখন বিপর্যস্ত তাঁদের অবস্থা। রাজ্য এবং ভিন রাজ্য মিলিয়ে প্রায় ৪-৫ হাজার বাস শ্রমিক ইতিউঁতি ছড়িয়ে রয়েছেন। বাসকেই বানিয়ে ফেলেছেন আশ্রয় শিবির। কিন্তু রেশন ও চিকিৎসার অভাবে তাঁদের এখন দৈন্যদশা।"
করোনা ভাইরাসে ২৪ ঘন্টায় বলি ৫১, এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ: ১০টি তথ্য
"আমরা তাই সরকারের কাছে আর্জি করব এঁদের মেডিক্যাল সহায়তা দিয়ে সুস্থ করে তুলতে। এতদিন বাড়ির বাইরে থেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত তাঁরা। সে বিষয়েও সরকারের কাছে আবেদন করা হবে।" এদিন বলেন রাহুল বাবু। জানা গিয়েছে, বেসরকারি বাস সংগঠনের সদস্য হিসেবে কয়েকজন বাস-মালিক শ্রমিক স্বার্থে এগিয়ে এসেছে। অর্থ ও রেশন দিয়ে সাহায্য করেছে। কিন্তু সেই উদ্যোগ যথেষ্ট না। এদিকে আরও ১৪ দিন দেশব্যাপী এই লকডাউন বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র। সেখানে এঁদের অবস্থা আরও দুর্বিষহ হবে। বাস মালিক সংগঠনের তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
কেঁপে উঠল রাজধানী! পরপর দু'দিন ভূমিকম্প দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে
এ বিষয়ে রাজ্যের অন্যতম বড় বাস মালিক সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সচিব তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "এই বাস শ্রমিকদের দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে পরিবহণ দফতরকে চিঠি লিখেছি। আবেদন করেছি সংশ্লিষ্ট জেলার আরটিও মারফৎ এঁদের হাতে অর্থ ও রেশন তুলে দিয়ে সাহায্য করতে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেভাবে সাড়া মেলেনি।"
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)