বিমানবন্দর পৌঁছতে নথিভুক্ত ট্যাক্সি পরিষেবার পক্ষে সওয়াল করেছে কেন্দ্র। তুলে দেওয়া হবে পরবেশ পথে পরিচয়পত্র পরীক্ষা। (ফাইল)
বিমান পরিবহণ পরিষেবা (Commercial Flight) চালু হলে একাধিক বিধিনিষেধের আওতায় পড়তে চলেছেন যাত্রীরা। রাখা যাবে না কেবিন ব্যাগেজ, মোবাইলে রাখতে হবে আরোগ্য সেতু অ্যাপ । পাশাপাশি সর্বাধিক দু'ঘণ্টা আগে পৌঁছতে হবে বিমানবন্দর। এই জাতীয় একাধিক গাইডলাইন প্রস্তাব আকারে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি সংক্রান্ত খসড়া হাতে নিয়েই যাত্রী বিমান পরিষেবা চালু (After Lockdown) করতে তৎপর হয়েছে মন্ত্রক। এমনটাই সূত্রের খবর। প্রায় ৪৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। সংক্রমণ আতঙ্ক ও লকডাউনের জেরে দেশব্যাপী বন্ধ করা হয়েছে গণপরিবহণ পরিষেবা। যদিও মঙ্গলবার অর্থাৎ ১২ মে থেকে নিয়ন্ত্রিত ট্রেন চলাচলে অনুমোদন দিয়েছে রেল মন্ত্রক। তাও দিল্লি থেকে দেশের অন্যের রাজ্যে চলবে ১৫ জোড়া ট্রেন।
বাগ মানছে না করোনা, তাই ১৭ মে এর পরেও বাড়তে পারে লকডাউনের মেয়াদ: সূত্র
এদিকে, জানা গিয়েছে আরোগ্য সেতু অ্যাপে সবুজ সঙ্কেত, ওয়েব চেক-ইন আর প্রবেশপথে তাপমাত্রা পরীক্ষা প্রাথমিক ভাবে বাধ্যতামুলক করতে চলেছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, এসওপি'র এই খসড়া শুধু যাত্রী নয়, বিমানের অনবোর্ড কর্মী-সহ বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড স্টাফ সবাইকে মেনে চলতে হবে। বন্দে ভারত মিশনের দ্বিতীয় দফায় ১৬ -২২ মে বিদেশে আটক ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হবে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে মঙ্গলবার এমন দাবি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোট ১৪৯টি বিশেষ বিমানে ৩১টি দেশ থেকে উদ্ধার করা হবে ভারতীয়দের। প্রথম দফার উদ্ধারকাজ ১৪ মে শেষ হবে। খবর, এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ ভারতীয়কে ইউএস (US), ইউকে, পূর্ব ইউরোপ ও উপসাগরীয় এলাকায় (Gulf Nation) থেকে ফেরানো হয়েছে। মুম্বই-সহ দিল্লি, আহমেদাবাদ, হায়দরাবাদের মতো শহরে ফিরেছেন নাগরিকরা। জানা গিয়েছে, জুনের ১৫ তারিখের মধ্যে প্রায় ৫ লক্ষ নাগরিক দেশে ফিরবেন।
আকাশপথ ছাড়াও জলপথে চলবে এই উদ্ধার অভিযান। এদিকে, দেখতে দেখতে দেশে ৭০,০০০ পেরিয়ে গেলো করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান মতে, ভারতে এখন মোট আক্রান্ত ৭০,৭৫৬ জন। ওই মারণ ভাইরাস এদেশে প্রাণ কেড়েছে মোট ২,২৯৩ জন মানুষের। গত ২৪ ঘণ্টাতেই মারা গেছেন ৮৭ জন করোনা রোগী। পাশাপাশি নতুন করে ওই সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৬০৪ জন। এদিকে সরকারি সূত্র থেকে যা ইঙ্গিত মিলছে তাতে ১৭ মে তারিখের পরেও ফের একবার বাড়ানো হতে পারে লকডাউনের মেয়াদ।