This Article is From Jul 20, 2018

1984 সালের দাঙ্গায় সবচেয়ে বেশি মানুষের গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছিল, বললেন রাজনাথ

গণপিটুনিতে মৃত্যু বাড়তে থাকায় কয়েকদিন ধরেই চর্চা শুরু হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও বিষয়টিতে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে প্রথম গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছিল  2015 সালে।

নিউ দিল্লি:

অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ফের একবার গণপিটুনিতে মৃত্যুর প্রসঙ্গ  তুললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর মতে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল 1984 সালে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির হত্যার পর  শিখ বিরোধী দাঙ্গায় গণপিটুনিতে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছিল  অন্য কোনও  ঘটনায় অত প্রাণ যায়নি।           

গণপিটুনিতে মৃত্যু বাড়তে থাকায় কয়েকদিন ধরেই চর্চা শুরু হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও বিষয়টিতে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় সকারকেই সক্রিয় হওয়ার কথা বলেছে আদালত। এরপরই গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করে বিরোধীরা। জবাব দেন রাজনাথ। আগেই তিনি জানিয়েছিলন আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। তখন বিরোধী দলগুলি দাবি করে বেশিরভাগ রাজ্যেই এখন  বিজেপি সরকার। তাই বিজেপি কোনও ভাবেই দায় অস্বীকার করতে পারে না। এই প্রেক্ষাপটে ফের একবার জবাব দিলেন রাজনাথ।

 তিনি বলেন, আমি মনে করি 1984 সালের দাঙ্গায় সবচেয়ে বেশি মানুষের গণপিটুনিতে  মৃত্যু হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া  তথ্য বলছে,  সেই ঘটনায়, প্রায় 3,325 মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন । তাঁর মধ্যে শুধু দিল্লিতেই মৃত্যু হয়েছিল   2,733 মানুষের।

এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে রাজনাথ বলেন, 30  বছর আগের ওই ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ন্যায় বিচার দিতে আমরা অঙ্গীকাবদ্ধ। তদন্তের জন্য একটি  বিশেষ দলও তৈরি হয়েছে।

রাজনৈতিক মহলের মতে এদিন রাজনাথ সিং  কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধির মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন। আগেই রাহুল বলেছিলেন বিজেপির আমলে দেশে হিংসা বেড়েছে। আর তাই রাজনাথ মনে করিয়ে দিতে চাইলেন সবচেয়ে বড় গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে কংগ্রেস আমলেই।

এই সময়ের মধ্যে প্রথম গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছিল  2015 সালে। উত্তর প্রদেশের দাদরিতে গুরুর মাংস খাওয়ার ‘অপরাধে’  এখলাক আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে  মারা হয়। তারপর থেকে এ ধরনের ঘটনার পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে।

.