This Article is From Dec 25, 2019

‘‘ডিটেনশন কেন্দ্র নয়, ধৃত আফ্রিকানদের রাখার জন্য’’: কর্নাটকের মন্ত্রী

তিনি বলেন, ‘‘এটা ডিটেনশন কেন্দ্র নয়। কাউকে নাগরিকত্ব ইস্যুতে আটক রাখার কোনও উদ্দেশ্যই নেই এখানে।’’

‘‘ডিটেনশন কেন্দ্র নয়, ধৃত আফ্রিকানদের রাখার জন্য’’: কর্নাটকের মন্ত্রী

কর্নাটকে কোনও ডিটেনশন কেন্দ্র নেই বলে জানালেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই।

বেঙ্গালুরু:

কর্নাটকে (Karnataka) কোনও ডিটেনশন কেন্দ্র (Detention Centre) নেই বলে জানালেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। বেঙ্গালুরু থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সোন্দেকোপ্পা গ্রামে অবস্থিত বিতর্কিত কেন্দ্রটি মাদক পাচারে ধৃত আফ্রিকানদের রাখার জন্য বলে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘‘এটা ডিটেনশন কেন্দ্র নয়। কাউকে নাগরিকত্ব ইস্যুতে আটক রাখার কোনও উদ্দেশ্যই নেই এখানে।'' কীভাবে এই কেন্দ্রটি চা‌লানো হয়, সে সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণা নেই বলেও জানান বাসবরাজ বোম্মাই। বাসবরাজ বোম্মাই এই কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেশে কোনও ডিটেনশন কেন্দ্র নেই, একথা জানানোর কয়েকদিনের মধ্যেই।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবশ্য জানিয়েছেন, অসমে একটি ডিটেনশন কেন্দ্র রয়েছে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য। এবং সেটি রয়েছে বহু বছর ধরে।

“সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করার দায়িত্ব জনগণের”, বিক্ষোভ নিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন, ওই কেন্দ্রটি তৈরি করেছে সমাজকল্যাণ দফতর। অন্তত তাঁর জানা নেই, এটি শুরু হয়েছে বলে। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘যদি এটি চালু থাকত তাহলে বন্দিরা এখানে থাকত। কিন্তু কেউই নেই।''

তিনি বলেন, এটি ডিটেনশন কেন্দ্র নয়। নাগরিকত্ব ইস্যুতে বন্দি কাউকে এখানে রাখার কোনও পরিকল্পনা নেই। 

"হাম কাগজ নেহি দিখায়েঙ্গে": সমাবর্তনের মঞ্চে উঠে CAA-র কাগজ ছিঁড়ে ফেললেন যাদবপুরের ছাত্রী

es4cp6c

তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা কেবল ওদের (আফ্রিকান ব্যক্তিদের) এখানে রাখার জন্য। এবং এখান থেকে ওদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য।'' তিনি অভিযোগ জানান, আইন শৃঙ্খলার অবনতি এখানে খুব বড় একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ওই কেন্দ্রটি ২০ বছরের পুরনো একটি বাড়ি। কয়েকশো বর্গফুটের ওই বাড়িটি এর আদে হোস্টেল বিল্ডিং হিসেবে পরিচিত ছিল। বাড়িটির মধ্যে ঘর, শৌচাগার, রান্নাঘর রয়েছে।

এর আগে অক্টোবরে বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছিলেন, এখানে একটি ডিটেনশন কেন্দ্র রয়েছে, যা খুব শিগগিরি চালু হবে। তিনি ইঙ্গিত করে জানিয়েছিলেন, এখানে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রাখা হবে। তিনি এও জানান, বিজেপি সরকারের লক্ষ্য রাজ্যে এনআরসি করার।

অসমে এনআরসি থেকে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ যাওয়ার পর থেকেই এনআরসি নিয়ে বিতর্ক ক্রমেই দানা বেঁধেছে। বিজেপি সরকার জানিয়ে দেয়, দেশজুড়ে এনআরসি হবে। এরপরই সেই বিতর্ক আরও বড় আকার ধারণ করে।

এদিকে নতুন নাগরিকত্ব আইনে মুসলমিদের প্রতি বৈষম্য করার অভিযোগ ওঠার পরে দেশজুড়ে এই আইন নিয়ে প্রবল বিতর্ক ও প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।

এরই মধ্যে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, দেশে কোনও ডিটেনশন কেন্দ্র নেই।

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে এদেশে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের দাবি, এই আইনে মুসলিমদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে এবং এই আইন সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।  

.