প্রস্তাবিত এই বৈঠক বিভিন্ন দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ।
কলকাতা: ছাত্র বিক্ষ্মভের জেরে পদ ছাড়তে চাওয়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানালেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কেশরি নাথ ত্রিপাঠি। সূত্রের খবর চিঠি লিখে আচার্যর সঙ্গে দেখা করতে চান উপাচার্য। সেই বৈঠকের পরই স্পষ্ট হতে পারে সুরঞ্জন আর পদে থাকবেন কিনা। কিন্ত এ ব্যাপারে নিজের সিদ্ধান্ত যে চাপিয়ে দেওয়া ভাবনা তাঁর নেই সেটা রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন।
প্রবেশিকা পরীক্ষা ঘিরে তৈরি হওয়া জটিলতার পরিপ্রেক্ষিতে লাগাতার ছাত্র বিক্ষোভ হয় দেশের নামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুরে। শুরু হয় অনশন। আন্দোলনের চাপে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয়। ফিরে আসে প্রবেশিকা পরীক্ষা। কিন্ত উপাচার্য এবং সহ উপাচার্য প্রদীপ ঘোষ জানিয়েছেন তাঁরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন আর তাই পদে থাকতে চান না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক প্রধান প্রধান রাজ্যপালের কাছেই ইস্তফা দিতে হয় উপাচার্যকে। তাই প্রস্তাবিত এই বৈঠক বিভিন্ন দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠক প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেছেন ,' উপাচার্য এলেই সমস্ত কথা হবে। আমি ওঁর থেকে সবটা জানব।'
যাদবপুরে ছাত্র বিক্ষোভ কোনও নতুন বিষয় নয়। গত কয়েক বছরে একাধিকবার ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বছর তিনেক আগে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় ক্যাম্পাসে। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকেন তৎকালীন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। বাইরে বেরতে পুলিশের সাহায্য নিতে হয় তাঁকে। পড়ুয়াদের দাবি উপাচার্যকে বের করতে নির্বিচারে লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। এমন দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় চারদিকে। অভিজিতের পদত্যাগের দাবিতে শুরু হয় হোক কলরব আন্দোলন। শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গোলমাল মিটে যায়। পদ ছাড়েন উপাচার্য। তারপর এই প্রবেশিকা ঘিরে উত্তাল হল পরিস্থিতি গত মাসেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
অন্যদিকে, সম্প্রতি যাদবপুরে যে বিক্ষোভ হয়েছে তা ধীরে ধীরে অন্য্ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সঞ্চারিত হচ্ছে। প্রথমে হোস্টেলের দাবিতে মেডিক্যাল পড়ুয়ারা অনশন শুরু করে। এরপর প্রবেশিকা পরীক্ষা ঘিরে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয় শহরের দুই শতাব্দী প্রাচীন প্রেসিডেন্সিতে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)