বুধবার থেকে শুরু হল প্ৰৱেশিকার প্রাথমিক কাজ।
কলকাতা: পড়ুয়াদের দাবির কাছে নতি স্বীকার করে প্রবেশিকা পরীক্ষায় নেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার সেই পরীক্ষা আয়োজনের প্রাথমিক কাজও শুরু হয়ে গেল। রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বুধবার জানালেন পরীক্ষার সমস্ত কাজ করবে বিশ্ববিদ্যালয় নিজেই। বাইরের কাউকে এ ব্যাপারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
পড়ুয়াদের দাবি মেনে কলা বিভাগের ছয়টি বিষয় পরীক্ষা হচ্ছে। কিন্ত উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এবং সহ- উপাচার্য এখনও অনড় নিজেদের পুরনো অবস্থানে। কর্মসমিতির বৈঠকের পর মঙ্গলবার রাতেই পদ ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন উপাচার্য ও সহ- উপাচার্য। প্রবেশিকা পরীক্ষায় ফেরানোর সিদ্ধান্ত তাঁরা মানেন না বলে পদে থেকে যাওয়ার কোনও কারণ দেখেছেন না এই দু'জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের ইচ্ছার কথাও জানিয়েও দিতে চান তাঁরা ।
এই আবহের মধ্যেই বুধবার থেকে শুরু হল প্ৰৱেশিকার প্রাথমিক কাজ। রেজিস্ট্রার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পরীক্ষা নেবে বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্ত এ ব্যাপারে আর কোনও তথ্য তিনি দেননি। তবে কলা বিভাগের ডিন শুভাশিস বিশ্বাস জানিয়েছেন জুলাই মাসের 21 থেকে 25 তারিখের মধ্যে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে। বাইরের কোনও প্রতিষ্ঠানকে প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত না করা হলেও বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকদের সামিল করা হবে। তবে গোটা ব্যাপারটা দেখভাল করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা।
প্রবেশিকা পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু হয় যাদবপুরে। আগে এখানে ভর্তি হতে গেলে পরীক্ষা দিতে হত না। বছর কয়েক আগে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভাল ছাত্র পাওয়ার আশায় কয়েকটি বিষয় শুরু হয় প্রবেশিকা পরীক্ষা। প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে আপত্তি করেন রাজ্যের শিক্ষা দফতর। তাদের যুক্তি ছিল একই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুরকমের ভর্তি পক্রিয়া থাকতে পারে না। খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও একই মত পোষণ করেন। এরই মাঝে পরীক্ষার ভিত্তিতেই ভর্তি নেওয়া হবে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়। পরে সেই সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিয়ে বলা হয় বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, রাষ্টবিজ্ঞান, তুলনা মূলক সাহিত্য ও দর্শনে প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে না। ভর্তি হবে দ্বাদশ শ্রেণিতে পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতেই। কিন্ত পড়ুয়াদের দাবি ভর্তি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। তাদের চাপের কাছে বাধ্য হয়েই বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নেওয়ার রাস্তা থেকে সরে এসেছে। এরপরই আন্দোলন শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কোনও ভাবেই দাবি মানতে রাজি না হওয়ায় অনশন শুরু করেন কলা বিভাগের বেশ কিছু পড়ুয়া। অনশন আন্দোলন চতুর্থ দিনে পা দেয়। দেখা যায় কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তখন দ্রুত ফের বৈঠকে বসে কর্মসমিতি। অধিকাংশ সদস্যের সম্মতিতে মেনে নেওয়া পড়ুয়াদের দাবি। ইতি পরে অনশন আন্দোলনে , কিন্ত উপাচার্য ও সহ উপাচার্য পদ ছাড়তে চাওয়ায় ফের একবার তৈরি হতে পারে অচলাবস্থা। তবে নতুন করে কোনও সমস্যা তৈরি হলে তার দায় নিতে নারাজ পড়ুয়ারা। তাদের তরফে বলা হচ্ছে উপচার্য বা সহ উপাচার্যের পদত্যাগ নিয়ে তারা সরব হননি। তাঁরা শুধু "ন্যায্য' দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করেছিলেন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)