মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনই বিমান পরিষেবা শুরু করার জন্য প্রস্তুত নয় রাজ্য। (ফাইল)
কলকাতা: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata banerjee) ঠিক করেছেন তিনি কেন্দ্রকে চিঠি লিখে জানাবেন অন্তত ৩০ মে পর্যন্ত কলকাতার বিমান পরিষেবা (Domestic Flights) শুরু করার দিনক্ষণ পিছিয়ে দিতে। প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা শুরু করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার রেলওয়ে বোর্ডকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছে যেন আগামী ৩০ মে পর্যন্ত রাজ্যে কোনও পরিযায়ীদের (Migrants) ট্রেন পাঠানো না হয়। গত বুধবার ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে এখনও কলকাতা সহ রাজ্যের বহু জায়গায় জনজীবন বিপর্যস্ত। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি কেন্দ্রকে লিখিত ভাবে জানাব ২৮ মে পর্যন্ত বাগডোগরায় বিমান পাঠাতে। সেই সঙ্গে অনুরোধ করব ৩০ মে পর্যন্ত যেন কলকাতায় কোনও বিমান না পাঠানো হয়।''
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘যাঁরা বিমানবন্দরে নামবেন তাঁদের সকলের ব্যক্তিগত যানবাহন নেই। তাঁরা বাড়ি পৌঁছবেন কী করে? লকডাউন চলছে। কিছু মানুষের গাড়ি রয়েছে। কিন্তু সকলের নেই। এটাই সমস্যা।''
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২৬ মে-র পর যে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে আসবেন তাঁদের ১৪ দিনের জন্য নিজেদের বাড়িতে কোয়ারান্টাইন রাখা হবে।
তিনি বলেন, ‘‘কিছু গ্রাম নিজেদের কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। সেখানে মানুষকে রাখা হচ্ছে। খাবার দেওয়া হচ্ছে। এটা খুব ভাল পরিকল্পনা। আর না হলে তাঁরা নিজেদের বাড়িতেই কোয়ারান্টাইনে থাকবেন।''
ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের মোবাইল ফোনের সাহায্যে তাঁদের গতিবিধি ট্র্যাক করবে স্বাস্থ্য দফতর। সমস্ত পরিযায়ীকেই সরকারের কাছে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে।
তবে পরিযায়ীরা স্টেশনে পৌঁছনরো সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা হবে না। পরে গ্রামে ফিরলে, সেখানে তাঁদের পরীক্ষা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রেল স্টেশনে পরীক্ষা করিয়ে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করার দরকার নেই। কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে সময় লাগে। অন্তত পাঁচ মিনিট তো লাগবেই। ফলে স্টেশনে পরীক্ষা করতে গেলে অনেক সময় লাগবে।''
বিমান পরিষেবা চালু হলে সেক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসৃত হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের দু'-তিন দিন সময়ও দেওয়া হয়নি পরিস্থিতি সামাল দিতে। ঘূর্ণিঝড়ে আমরা বিপর্যস্ত। তাই এই সময়ে উড়ান ও পরিযায়ীদের ট্রেন এসে পৌঁছলে বিষয়টা আমাদের কাছে আরও কঠিন হয়ে যাবে।''