This Article is From Mar 12, 2020

‘‘কোনও আইন আপনাদের সমর্থন করে না’’, সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনা উত্তরপ্রদেশ সরকারকে

বিচারপতি ইউইউ ললিত বলেন, ‘‘যারা অন্যায় করেছে তাদের আটক করা হবে। কিন্তু রাষ্ট্র কি তার বেশি কিছু করতে পারে?''

এলাহাবাদ হাইকোর্টের মতোই সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেল উত্তরপ্রদেশ সরকার।

হাইলাইটস

  • সিএএ-হিংসায় জড়িত ব্যক্তিদের নাম লেখা হোর্ডিং টাঙিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার
  • এই কারণে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আগেই ভর্ৎসিত হতে হয়েছে তাদের
  • এবার শীর্ষ আদালতেও সমালোচিত তারা
নয়াদিল্লি:

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদে হওয়া হিংসায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের নাম লেখা হোর্ডিং টাঙানোর পদক্ষেপের জন্য উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকারকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিল, কোনও আইনই এই ধরনের কাজ সমর্থন করে না। চলতি সপ্তাহের শুরুতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট লখনউ জুড়ে টাঙানো ‘নেম অ্যান্ড শেম' পোস্টার ও হোর্ডিং সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয় যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। এদিন তিন সদস্যের বিচারপতিদের বেঞ্চে ছিল তারই শুনানি। সুপ্রিম কোর্টও হাইকোর্টের অর্ডারে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি।

উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবী তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে বলেন, ওই হোর্ডিং টাঙানো হয়েছে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরেই। এই মামলার দ্রুত শুনানির জন্য একটি শক্তিশালী বেঞ্চ গড়ে দেওয়ার জন্য প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের কাছে আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের রেজিস্ট্রিকে নির্দেশ দিয়েছে অবকাশকালীন বেঞ্চ।

করোনা-আক্রান্ত বেড়ে ৭৩! ‘‘উদ্বেগের বিষয়'', জানালেন বিদেশমন্ত্রী

উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, হোর্ডিংগুলি এখনই সরানো হবে না। কেননা, মামলাটি আরও বড় বেঞ্চের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সূত্রানুসারে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে ওই হোর্ডিংগুলি টাঙানো হয়। তাতে সেই সব ব্যক্তিদের নাম ছিল, যাঁরা জনসম্পত্তি নষ্টের দায়ে অভিযুক্ত এবং যাঁদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে ক্ষতিপূরণ না দিলে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।

"মহারাজের সঙ্গেই আছি": মধ্যপ্রদেশের বিদ্রোহী বিধায়কদের বার্তায় অস্বস্তিতে কংগ্রেস

বিচারপতি ইউইউ ললিত বলেন, ‘‘যারা অন্যায় করেছে তাদের আটক করা হবে। কিন্তু রাষ্ট্র কি তার বেশি কিছু করতে পারে?'' তিনি প্রশ্ন তোলেন রাজ্য সরকার এই ধরনের হোর্ডিং টাঙাতে পারে কিনা তা নিয়ে।

গত সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানায়, গোপনীয়তার অধিকার একটি মৌলিক মানবাধিকার, যাকে মান্যতা দিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ ও সুপ্রিম কোর্ট। আদালত লখনউ প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়, ১৬ মার্চের মধ্যে সমস্ত হোর্ডিং সরানোর ব্যাপারে রিপোর্ট পেশ করার ব্যাপারে। 

.