যে বা যারা এই নির্দেশ অমান্য করবে ফল ভুগতে হবে তাদেরও
বারেলি: আবার সেই ফতোয়া রাজ! ঘটনাস্থল উত্তর প্রদেশের বারেলি। তিন তালাকের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছিন্না এক মহিলার সঙ্গে মেলামেশার উপর ফতোয়া জারি করা হল । নির্দেশ দেওয়া হল নিদা খান নামে ওই মহিলার সঙ্গে কেউ যেন কথা না বলে। তিনি যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তাঁকে দেওয়া যাবে না ওষুধটুকুও । অবশ্য ব্যাপারটা এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। ফতোয়ায় আরও বলা হয়েছে ওই মহিলার মৃত্যু হলে তাঁকে কবর দিতে দেওয়া হবে না! সামিল হওয়া যাবে না শেষকৃত্যে। যে বা যারা এই নির্দেশ অমান্য করবে ফল ভুগতে হবে তাদেরও । এমনই ফতোয়া জারি করেছেন মুফতি খুরশিদ আলাম নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ধর্মগুরু।
কিন্ত কেন হচ্ছে এসব ? জানা গিয়েছে বছর তিনেক আগে নিদার সঙ্গে উস্মান রেজা খানের বিয়ে হয়। মাত্র এক বছরের মাথায় ঘর ভাঙে। তিনবার তালাক উচ্চারণ করে সম্পর্ক শেষ করেন স্বামী। তবে এই ঘটনাকে জীবনের নিয়তি বলে মানতে রাজি হননি নিদা। আদালতে মামলা করেন। জিতেও যান। আর সেটাই আছে ফতোয়া জারির মূলে। কারণ নিদা যা করেছেন তা নাকি ইসলাম বিরোধী ! তাই এ হেন মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা চলে না বলেই মনে করেন ওই ধর্মগুরু ! নিজের অনুগামিদের উপর তাঁর আগাধ আস্থা। তবে নিদা যদি এমন ‘ইসলাম বিরোধী’ কাজের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চান তাহলে অবশ্য ফতোয়া প্রত্যাহার করার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করা হবে।
সে পথে হাঁটার ভাবনা নেই নিদার। আগেও ছিল না । আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেওয়ার পর জনসচেতনতা বাড়ানোর কাজ শুরু করেছেন তিনি। শুধু তিন তালাক নয় নিকাহ হালালার বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন। এই ফতোয়া জারি প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, এ ধরনের কাজ যারা করে তাদের পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে কেউ কারও বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করতে পারে না। আর কে অপরাধী সেটা বিচারের অধিকার আল্লা ছাড়া আর কারও নেই ।