জঙ্গি হামলার পর ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্ক নতুন করে খারাপ হয়েছে।
হাইলাইটস
- বিশকেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠক হবে না ইমরানের
- বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আজ সংবাদ মাধ্যমে এ কথা বলা হয়েছে
- মন্ত্রকের সচিব রাভিশ কুমার জানিয়েছেন বৈঠকের কথা তাঁর জানা নেই
নিউ দিল্লি: আগামী মাসে বিশেকেকে (Bishkek) এসসিও-র (Shanghai Cooperation Organisation ) আঞ্চলিক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের (Pak PM Imran Khan) দেখা হবে। কিন্তু সরকারি সূত্রে খবর দুই নেতার দেখা হলেও কথা হবে না। বিদেশ মন্ত্রকের (Indian Foreign Ministry) তরফে এ কথা বলা হয়েছে। মন্ত্রকের সচিব রাভিশ কুমার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমার কাছে যা খবর তাতে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মধ্যে এসসিও-তে কোনও বৈঠক হবে না।'
‘মন শুদ্ধ করতে' মমতাকে রামচরিত মানস উপহার দিলেন বারাণসীর পুরোহিত
ভারতের তরফ থেকে আগেই বলা হয়েছিল দুই নেতার দেখা বা কথা হলে সন্ত্রাস নিয়ে সরব হবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সন্ত্রাস নিয়ে ভারতের অবস্থান আগের মতোই আছে এটা বোঝাতে চায় ভারত। দীর্ঘ দিন ধরে ভারত বলে এসেছে সন্ত্রাস বন্ধ না হলে পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হবে না। দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হতে পারে বলে যেদিন আলোচনা হচ্ছে তার দিন দুয়েক আগে বিপুল জয়েরত জন্য মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইমরান। জানা গিয়েছে রবিবার দুই নেতার মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়, ফোন করার জন্য ইমরানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদী। ভোটের ফল প্রকাশের দিনই টুইট করেছিলেন ইমরান। তিনি লেখেন, বিজেপি এবং তাঁর সহযোগী দলকে জয়ের জন্য ধন্যবাদ জানাই। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি এবং সমৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। পাল্টা মোদী লেখেন, ‘আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ। আমিও শান্তি এবং উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়ে এসেছি।' কিন্তু এবার জানা গেল কোনও বৈঠক হবে না।
‘বাংলাদেশের অভিনেত্রী' বিতর্কে বিজেপিকে আন্তর্জাতিক দল বলল তৃণমূল
জঙ্গি হামলার পর ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্ক নতুন করে খারাপ হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে জঙ্গি হামলা হয়। তাতে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। এরপর নতুন করে দু'দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। এর আগে ভারতের তরফে বলা হয় সন্ত্রাস বন্ধ না হলে আলোচনা হবে না কিছুদিন আগে দেশের বিদায় বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মামুদ কুরেশির সঙ্গে বৈঠক এড়িয়ে যান। এখনও সেই অবস্থান বজায় রেখেছে দিল্লি। এর আগে এপ্রিল মাসে ইমরান বলেছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে ভারতের সঙ্গে শান্তি স্থাপন সহজ হবে। এই মন্তব্যের সমালোচনা করে বিরোধীরা।