দিল্লিতে 17000 গাছ কাটার পরিকল্পনা বিক্ষোভের সৃষ্টি করছে
নিউ দিল্লি:
সরকারি আধিকারিকদের আবাসন এবং বাণিজ্যিক ইমারত তৈরির জন্য দিল্লিতে আরও 17000 গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় যথেষ্ট বিতর্কের উপস্থিত হয়েছে, কিন্তু আজ হাইকোর্ট তাতে স্থাগিতাদেশ জারি করেছেন।''গ্রীন ট্রাইবুনাল গাছ কাটার বিষয়টি অনুমোদন করছে কি?'' আজ হাইকোর্ট তা জানতে চেয়েছেন এবং 4 জুলাই এই বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
রাস্তা তৈরির জন্য গাছ কাটার বিষয়টা তাও মেনে নেওয়া যায়।''আবাসন তৈরির জন্য গাছ কেটে ফেলার বিষয়টিকে কিছুতেই অনুমোদন করা যাচ্ছে না।'' এই প্রকল্পের দেখাশোনা করছে ন্যাশনাল বিল্ডিংস কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন (NBCC), বিচারপতি তাদের উদ্দেশ্যেই এই প্রশ্ন রেখেছেন।
আবেদনকারী, কে কে মিশ্রা কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প বন্ধ করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, সহস্রাধিক গাছ কাটাকে ''পুনরুন্ননয়'' বলা যায় কি? দক্ষিণ দিল্লির সাতটি কলোনিতে সহস্রাধিক গাছ কাটার কথা ছিল। ''দক্ষিণ দিল্লির প্রায় 20000 গাছ কাটার পরিকল্পনা আছে।এর আগে রাজ্যকে দেওয়া একটি রিপোর্টে জানা গেছিল যে, দিল্লিতে খুব বেশি হলে নয় লক্ষ গাছ আছে। আবেদনকারী সাংবাদিকদের জানিয়েছে যে, ''আমি আশা করছি আদালত নিশ্চয়ই এই বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেবে।''
পৃথিবীর অন্যতম জন বহুল শহর হল দিল্লি, অথচ সেই দিল্লিতে বেশ কয়েক বছর ধরে কোনো গাছকেই ঠিক মতো বড়ো হতে দেওয়া হচ্ছে না।
এই প্রকল্প গড়ে তোলার জন্য অন্যতম স্থান হিসাবে সরোজিনী নগরকে নির্বাচিত করা হয়েছে, তবে রবিবার সেখানেও গাছ কাটার বিষয়ে বাধা দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানিয়েছেন, ''আমি যতদিন ধরে এই মন্ত্রিত্বের পদ সামলাচ্ছি তখন থেকে একটা গাছ কাটা হলে তার পরিবর্তে দশটা গাছ লাগানো হয়। দোষারোপ করতে কেউ পিছপা হয় না, কিন্তু ইটা ঠিক শীঘ্রই দক্ষিণ দিল্লি সবুজে ঢেকে যাবে।''
যদিও এমন উক্তির পরে পুরিকে বিভিন্ন সমালোচনার মুখোমুখি করতে হয়েছে। তাতে তিনি যথেষ্ট মনোক্ষুণ্ন হয়েছেন তা তার বক্তব্যতেই বোঝা গেছে।