This Article is From Dec 26, 2019

অসমের আন্দোলনকারীর এনআইএ হেফাজত নয়, পাঠানো হল জেলে

গীতাশ্রী তামুলি জানান, এদিনের তল্লাশিতে অখিল গগৈয়ের পুরানো ল্যাপটপ সহ একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ, রয়েছে তাঁর করা আরটিআই-ও

অসমের আন্দোলনকারীর এনআইএ হেফাজত নয়, পাঠানো হল জেলে

চলতি মাসের গোড়ার দিকে আন্দোলনকারী অখিল গগৈকে গ্রেফতার করা হয় (ফাইল)

গুয়াহাটি, অসম:

নয়া নাগরিকত্ব আইনের (New Citizenship Law) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঘটনায় অসমের (Assam) আন্দোলনকারী অখিল গগৈকে (Akhil Gogoi) বেআইনি কার্যকলাপ দমনের ধারায় গ্রেফতার করা হয় চলতি মাসেই, ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিন সকালে তাঁর গুয়াহাটির বাড়িতে তল্লাশি চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, তাঁকে হেফাজকে চাইলে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। একটি নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে তাঁর যোগ থাকার অভিযোগ রয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, অসমে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে সেরাজ্যে মাওবাদীদের ভিত শক্ত করার চেষ্টা করছিলেন অখিল গগৈ।   

অখিল গগৈয়ের স্ত্রী, গীতাশ্রী তামুলি জানান, এদিনের তল্লাশিতে অখিল গগৈয়ের পুরানো ল্যাপটপ সহ একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ, রয়েছে তাঁর করা আরটিআই-ও। তাঁর কথায়, “গতবারে তিনি যখন জেলে ছিলেন, সেই সময় ডায়েরিতে তাঁর লেখাগুলিও নিয়ে যাওয়া গয়েছে। জেলে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লেখার ইচ্ছা ছিল তাঁর। আমরা আধিকারিকদের বলি, তার একটা কপি রেখে দেওয়ার জন্য, যদিও সেকথা শোনা হয়নি”। 

রাজ্যজুড়ে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদের মধ্যেই গত ১২ ডিসেম্বর অখিল গগৈকে গ্রেফতার করা হয়। পাঁচদিন পর, তাঁকে এনআইএ হেফাজকে পাঠায় গুয়াহাটির একটি বিশেষ আদালত।  

এর আগে চলতি সপ্তাহেই, ৯৩ জন পড়ুয়াকে, তাঁর মুক্তির দাবিতে দিল্লির অসম ভবনের সামনে বিক্ষোভ জানানোর সময় আটক করা হয়।

গত বছর নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির এই নেতা।

নাগরিত্ব আইন অনুযায়ী, এই প্রথমবার নাগরিকত্ব পাওয়ার মাপকাঠি হিসেবে ধর্মকে রাখা হয়েছে। সরকারের দাবি, মুসলিম অধ্যুষিত পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার স্ংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে এই আইনে।

সমালোচকদের দাবি, নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে জাতপাতকে বিবেচনার মধ্যে এনে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের ভিতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

.