Read in English
This Article is From May 30, 2018

বাংলায় নিপাহ ভাইরাস নেই, জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা

তিনি বলেন অযথা আতঙ্ক তৈরি করার কোনও প্রয়োজন নেই”

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

স্বাস্থ্যকর্মীরা কেরলের নিপাহ ভাইরাস আক্রান্ত অঞ্চলটি পরিশুদ্ধ করছেন।

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী রাজ্যে নিপাহ ভাইরাসের সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। “বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ ভর্তি হননি”, বলে তিনি আজ জানিয়েছেন এনডিটিভিকে।
পূর্ব কলকাতার ওই সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তিনজন রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে ওয়াকিবহাল মহল থেকে জানা গিয়েছে। অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তাঁরা নিপাহ ভাইরাস-আক্রান্ত নন।
কেরলে এখনও পর্যন্ত 13 জন মারা গিয়েছেন নিপাহ ভাইরাসের কোপে।
“অত্যন্ত খামখেয়ালীভাবে জেলা থেকে আমাদের কাছে রোগীকে রেফার করে দেওয়া হয়। আমরা তাঁদের সমস্ত উপসর্গ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছি যে, এটি নিপাহ ভাইরাসের ব্যাপার নয়”। জানান স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা। “রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এখন সুস্থ আছেন। অযথা আতঙ্ক তৈরি করার কোনও প্রয়োজন নেই”। বলেন তিনি।
কেরল থেকে নিপাহ ভাইরাসের ফলে মৃত্যুর খবর আসার পর থেকেই গোটা দেশ জুড়েই এই নিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই বাংলাও ব্যতিক্রম নয়। পশ্চিমবঙ্গ এর আগে নিপাহ ভাইরাসের আক্রমণের সাক্ষী হয়েছিল দুটি আলাদা পর্বে।
2003 সালে শিলিগুড়িতে এই ভাইরাসের আক্রমণে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। এখনও অনেক সময় এই ভাইরাসকে শিলিগুড়ি ভাইরাস বলে অভিহিত করা হয়।
বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালের তিনজন রোগীই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে দুজন শ্রমিকের কাজ করত কেরলে। আর, তৃতীয়জন কাজ করছিল বেঙ্গালুরুতে।
“আমরা প্রতি মাসে বহির্বিভাগে এক কোটিরও বেশি রোগী দেখে থাকি। তাঁদের প্রত্যেককেই অত্যন্ত যত্ন নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, নিপাহ ভাইরাসের সামান্যতম খোঁজ পেলেই টেস্ট করতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই রোগীদের মধ্যে সেই ধরনের কোনও উপসর্গই নেই”। বলেন অজয় চক্রবর্তী।  
Advertisement