নিগৃহীতা আইনের ছাত্রীর পাশে দাঁড়াতে চাইলেও মিছিলের অনুমতি পেল না Congress
শাহজাহানপুর: বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা জেলবন্দি আইনের ছাত্রীর সমর্থনে উত্তরপ্রদেশে মিছিল করার অনুমতি পেল না কংগ্রেস। মিছিল করার চেষ্টা করলে আটক করা হয় বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতার (Chinmayanand) বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পরে বর্তমানে জেলবন্দি ওই নিগৃহীতা, সেই আইনের ছাত্রীকেই সমর্থন জানিয়ে শাহজাহানপুর থেকে লখনউ পর্যন্ত (Uttar Pradesh) পদযাত্রা করতে চেয়েছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের (Congress) নেতারা। চিন্মায়ানন্দের সহযোগীদের দায়ের করা জোর করে টাকা আদায়ের মামলায় পুলিশ তাঁকে গত সপ্তাহেই গ্রেফতার করে। ওই আইনের ছাত্রীর পরিবার অভিযোগ, পুলিশ ওই তরুণীকে রীতিমতো বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে যায়, এমনকি তাঁকে জুতোটুকু পর্যন্ত পরার সময় দেওয়া হয়নি। আইনের শিক্ষার্থী ওই নিগৃহীতা গত ৪দিন ধরে জেলবন্দি রয়েছেন। ওই নিগৃহীতা আগেই অভিযোগ করেন যে পুলিশ গত মাসে তাঁর করা ধর্ষণের অভিযোগটি নথিভুক্ত করতে অস্বীকার করে, তারপরে তিনি দিল্লিতে একটি মামলা দায়ের করেন। চিন্মায়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণ আইনের উপ-ধারার অধীনে "যৌন মিলনের জন্য কর্তৃপক্ষের অপব্যবহার" করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা তরুণীকে গ্রেফতার করল পুলিশ
অন্যদিকে, ওই মহিলার বিরুদ্ধে বিজেপি নেতাকে চাপ দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। চিন্মায়ানন্দের থেকে পাঁচ কোটি টাকা নিয়েছেন তিনি, এমন অভিযোগ ওঠে। সিট জানিয়েছে যে ওই ঘটনার "স্বীকারোক্তি" করেন নিগৃহীতা।
বিজেপির প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্মায়ানন্দ যিনি এই মাসের শুরুর দিকে গ্রেফতার হয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওই আইনের ছাত্রী অভিযোগ করেন যে, ওই বিজেপি নেতা তাঁর কর্তৃত্বের অপব্যবহার করেছেন এবং ছাত্রীকে তাঁর সঙ্গে যৌনমিলনে বাধ্য করেন। পাশাপাশি ওই তরুণী তাঁর বিরুদ্ধে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ আনেন।
অভিযুক্ত ৭২ বছরের চিন্ময়ানন্দ অবশ্য এখন জেলে নেই। দু'দিন জেলে থাকার পর রবিবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর আগাম জামিনের শুনানি ছিল। কিন্তু তার আগেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
সন্ত উপাধি হারাতে চলেছেন ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দ!
বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়নি। আনা হয়েছে ‘‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে যৌন সঙ্গম'' বা ‘‘যৌন সঙ্গম যা ধর্ষণের সঙ্গে শ্রেণিভুক্ত নয়''। এর ফলে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের পাঁচ থেকে ১০ বছরের সাজা হবে। সঙ্গে জরিমানা। ধর্ষণের ক্ষেত্রে সাত বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে পিছু নেওয়া, অন্যায়ভাবে আটকে রাখা ও ভয় দেখানোর অভিযোগও আনা হয়েছে।
দেখুন ভিডিও: