Read in English
This Article is From Aug 09, 2019

কাশ্মীর নীতির পরিবর্তন হয়নি, ভারত-পাকিস্তানকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন আমেরিকার

কাশ্মীর বিষয়ে মার্কিন নীতিটি হল এই বিষয়টি ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং সেখানে শান্তি বজায় রাখতে দুই দেশই ঠিক করবে আলোচনা কোন দিকে এগোবে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানকে তাঁদের দেশে বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে

ওয়াশিংটন:

কাশ্মীর (Kashmir) নিয়ে মার্কিন নীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি, এ বিষয়ে ভারত-পাকিস্তানকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানাল আমেরিকা। জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) থেকে বিশেষ মর্যাদার অবলুপ্তির পরেই পাকিস্তান (Pakistan) বিষয়টিতে আপত্তি জানায় ও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। কাশ্মীর নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে "না", এমনটাই উত্তর দিয়েছিলেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মর্গান ওরটাগুস (Morgan Ortagus)। কাশ্মীর বিষয়ে মার্কিন নীতিটি হল এই বিষয়টি ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং সেখানে শান্তি বজায় রাখতে দুই দেশই ঠিক করবে আলোচনা কোন দিকে এগোবে। আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র একথাও বলেন যে "যদি  কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন নীতির কোনও পরিবর্তন হয়েও থাকে তবে আমি অবশ্যই সেটা এখানে ঘোষণা করতাম না, তবে না, তেমন কিছু নেই"। তিনি বলেন, কাশ্মীর বিষয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিষয়টিই সমর্থন করে আমেরিকা।

সিমলা চুক্তি স্মরণ করিয়ে কাশ্মীর নিয়ে "সর্বাধিক সংযমের" আহ্বান জানাল রাষ্ট্রসঙ্ঘ

"এটি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আমরা সব পক্ষকেই শান্ত থাকা ও সংযম রক্ষার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা তৈরি করতে চাই এবং আমরা অবশ্যই চাইব কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের (Pakistan) উদ্বেগের বিষয়ে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশ নিজেদের মধ্যে সরাসরি আলোচনায় বসুক," বলেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র (Morgan Ortagus)।

Advertisement

সোমবার জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) থেকে ৩৭০ ধারা (Section 370) রদ করে বিশেষ মর্যাদার অবলুপ্তি ঘটানো ও রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল - জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) ও লাদাখে (Ladakh) বিভক্ত করার বিষয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

"ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের নানা বিষয়ে কথা হয়। স্পষ্টতই, আমাদের এখানে যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এসেছিলেন, তা কেবল কাশ্মীরের কারণে নয়। হ্যাঁ, এটি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটার প্রতি আমাদের সবসময় নজর আছে। তবে আমাদের ওই দুই দেশের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে আরও অনেকগুলি বিষয় রয়েছে, আমরা যেমন ভারতের সঙ্গে কাজ করি তেমনি আমরা পাকিস্তানের সঙ্গেও কাজ করি" বলেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মর্গান ওরটাগুস।

Advertisement

PM Modi's Top Quotes: ৩৭০ ধারা গিয়েছে, নয়া যুগের শুরু জম্মু ও কাশ্মীরের

গত সপ্তাহেই মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেও ব্যাংককে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

Advertisement

মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র (Morgan Ortagus) বলেন, আমেরিকা জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছে।

সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানকে নিজেদের দেশে সন্ত্রাসবাদী দলগুলির বিরুদ্ধে অপরিবর্তনীয় ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিষয়ে জোর দিতে বলেছে যাতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মতো অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়।

Advertisement

এদিকে, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অফ অ্যালিস ওয়েলসের পর আরেক প্রবীণ মার্কিন কূটনীতিক ভারতে আসছেন।

এই সফর পূর্ব নির্ধারিত ছিল, তবে তিনি ভারতে গিয়ে বর্তমান কাশ্মীর সমস্যাগুলি নিয়েও আলোচনা করতে পারেন বলে জানান মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মর্গান ওরটাগুস (Morgan Ortagus)। 

Advertisement

Advertisement