চলতি বছরের জানুয়ারিতেই কলকাতা বন্দরের নাম বদলে নতুন নামকরণ (Kolkata Port Renamed) করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখন কলকাতা বন্দরকে সবাই চিনছে 'শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর' নামেই। বুধবার এই প্রসঙ্গেই নিজের মতামত স্পষ্ট জানালেন মুখ্যমন্ত্রী (West Bengal) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন যে, কলকাতা বন্দর ট্রাস্টের নাম বদলে 'শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর ট্রাস্ট' (Syama Prasad Mukherjee Port Trust) নামকরণে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, "শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর ট্রাস্ট হিসাবে কলকাতা বন্দর ট্রাস্টের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, তবে এতে আমার কোনও সমস্যা নেই"। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাও কলকাতা বন্দর ট্রাস্টের নয়া নামকরণ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর ট্রাস্টের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে। এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ১১ জানুয়ারি এই বন্দরের নামকরণের ঘোষণা করেছিলেন। এবার তাতেই সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাও।
নবান্নের ২ গাড়ির চালক করোনা পজিটিভ, স্যানিটাইজ করা হচ্ছে গোটা ভবন
এদিকে কৃষকদের সুবিধার্থে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে সংশোধন করার জন্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিষয়েও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন: "অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে সংশোধন করার বিষয়ে অনুমোদনের ক্ষেত্রে এখনও আমরা কোনও প্রতিলিপি হাতে পাইনি, সুতরাং এখনই এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়"।
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহারে সম্মতি দিল 'হু'
কৃষিক্ষেত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার কৃষক স্বার্থে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে সংশোধনী আনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে। এই আইনটি সংশোধন হলে এবার দেশের যে কোনও জায়গায় পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কৃষকরা স্বাধীনতা পাবেন।
"দেশে প্রচুর পরিমাণে কৃষিপণ্য রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কৃষকরা কৃষি উৎপাদক বাজার কমিটি থেকে মুক্তি পাবেন। কৃষকরা এখন যে কোনও জায়গায় ভাল বিক্রি করার সুযোগ পাবেন, যেখানে খুশি পণ্য বিক্রি করার স্বাধীনতা থাকবে তাঁদের। আমরা ওয়ান নেশন ওয়ান মার্কেট অর্থাৎ এক দেশ, এক বাজার গড়ার দিকে এগিয়ে চলেছি", বলেন প্রকাশ জাভড়েকর।
মে মাসের মাঝামাঝিই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান যে, দেশের কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে ১৯৫৫ সালের এসেনশিয়াল কমোডিটিজ অ্যাক্ট বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনটি সংশোধন করা হবে। এই আইনটি সংশোধনের ফলে এ বার থেকে খাদ্যশস্য, ভোজ্য তেল, তৈলবীজ, পেঁয়াজ এবং আলুর মজুতের ক্ষেত্রে আরও কোনও ঊর্ধ্বসীমা থাকবে না৷ এর ফলে কৃষকদের আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হবে৷ গরিব চাষীদের বাধ্য হয়ে যাতে কম দামে ফসল বিক্রি করতে না করতে হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ একমাত্র জরুরি বা ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি ছাড়া ঊর্ধ্বসীমা কার্যকর করা হবে না৷ একই ভাবে কোনও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও শস্য মজুতে কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।