এই মন্তব্যের পর অসম নিয়ে চলতে থাকা রাজনৈতিক বিতর্ক আরও বাড়বে।
ঢাকা: যা আশঙ্কা করা হয়েছিল সত্যি হল সেটাই। নাগরিক তালিকা থেকে বাদ যাওয়া অসমের বাসিন্দাদের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক অস্বীকার করল বাংলাদেশ। জানিয়ে দিল বাংলা ভাষায় কথা বললেই কেউ বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যায় না।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া টেলিফোনিক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের তথ্য সম্প্রচারমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানিয়েছেন, অমসের এই সমস্যাটা দীর্ঘদিনের। গত 48 বছর ভারতের কোনও সরকার শতকের পর শতক ধরে চলতে থাকা সমস্যা সমাধানে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এখন মোদী সরকার অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে। আমরা মনে করি সেই কাজে তাদের দক্ষতা আছে। কিন্তু গোটা ব্যাপারটার সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক নেই।
এরপরে মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ওই সমস্ত মানুষদের কি বাংলাদেশ ফিরিয়ে নেবে? সরাসরি জবাব না দিয়ে তিনি বলেন, ''এনআরসি করে কী কী তথ্য উঠে এসেছে তা ভারতের সরকার আমাদের এখনও জানায়নি। যতদিন না সেই তথ্য হাতে আসছে ততদিন এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আর বাংলা ভাষায় কথা বললেই কেউ বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যায় না।'' বাংলাদেশের এই মন্তব্যের পর অসম নিয়ে চলতে থাকা রাজনৈতিক বিতর্ক যে আরও বড় আকার নিতে চলেছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
গত সোমবার অসমের নাগরিক তালিকার চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ করে এনআরসি। সেখানে দেখা যায় 3.29 কোটি মানুষের মধ্যে 2.89 কোটিকে নাগরিকের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বাদ গিয়েছেন 40 লক্ষ বাসিন্দা। তাঁদের কী হবে তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধী দলগুলি। পাল্টা উত্তর দিয়েছে বিজেপিও।
এই আক্রমণ প্রতি আক্রমণে মঙ্গলবার রাজধানীর রাজনীতি ছিল সরগরম। কংগ্রেস এং তৃণমূলের মতো বিরোধীরা বলছে ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থেই এমন সমস্ত কাজ করা হচ্ছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন এরকম তালিকা প্রকাশ করে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে । আবার বিজেপি সভাপতি আমিত শাহ বলেছেন ভারতীয়দের স্বার্থ মাথায় রেখেই সবটা করা হয়েছে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ 1985 সালে চুক্তি হলেও এদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বের করে দেওয়ার সাহস দেখাতে পারেনি কংগ্রেস।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)