This Article is From Oct 22, 2019

কোনও রকেট বা শব্দবাজি নয়, এই দীপাবলিতে বৈধ শুধু আতসবাজি

বৈধ বাজিতে কিউআর কোড দেওয়া স্ট্যাম্প ও একটি সরকারি স্ট্যাম্প থাকে, আনার এবং ফুলঝুরি ২ টি রঙের হবে

কোনও রকেট বা শব্দবাজি নয়, এই দীপাবলিতে বৈধ শুধু আতসবাজি

সরকার দাবি করে যে, সবুজ বাজিগুলোর মাধ্যমে ৩০ শতাংশ কম বায়ু দূষণ হয়

নয়াদিল্লি:

এবারের দীপাবলিতে শব্দবাজির কানফাটা আওয়াজে আর নাজেহাল হতে হবে না। কেননা সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) শুধুমাত্র দুই ধরণের পটকাকে বৈধ ঘোষণা করেছে, বাকি সমস্ত শব্দবাজি নিষিদ্ধ। ফলে এই বছরের দীপাবলি (Diwali) অনেকটাই শান্তভাবে উদযাপন করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। "আনার" এবং "ফুলঝুরি"-এর  সবুজ সংস্করণও এবার শব্দহীন হবে। এছাড়া রকেট, বোমা এবং অন্যান্য শব্দবাজি (Diwali Firecrackers) সমস্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, কেনার সময়, অবশ্যই সরকারি স্ট্যাম্প দেখে কেনা উচিত। বৈধ বাজিতে কিউআর কোড দেওয়া স্ট্যাম্প ও একটি সরকারি স্ট্যাম্প থাকে। আনার এবং ফুলঝুরি ২ টি রঙের হবে। ৫০টি "ফুলঝুরি" বা ৫টি "আনার" এর একটি বাক্সের দাম পড়বে ২৫০ টাকা। 

বাজি ফাটানোর উপর বিধি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও দিল্লিতে বায়ু দূষণের দাপট

"কেবল সবুজ রঙের পটকাকেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং আমরা এই বিষয়ে বিক্রেতাদের উপর নজর রাখতে দুটি দল গঠন করেছি। যদি দেখা যায় কেউ অন্য যে কোনও ধরণের শব্দবাজি বিক্রি করছেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে", বলেন দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র এমএস রন্ধাওয়া ।

সরকার দাবি করে যে,  সবুজ বাজিগুলোর মাধ্যমে ৩০ শতাংশ কম বায়ু দূষণ হয়। কেননা শীত আসার সঙ্গে সঙ্গেই দিল্লি এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে হওয়া বায়ুদূষণ ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই গত সপ্তাহে সাংঘাতিক ভাবে বেড়ে যায় দিল্লির বায়ু দূষণ। পরে জানা যায়, হাওয়ার দিকবদলের কারণে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির বর্জ্য পদার্থ পোড়ানোর ধোঁয়া এসে ঢুকছে দেশের রাজধানীতে, ফলে বাড়ছে বায়ু দূষণ।

কালীপুজো ও দিওয়ালির পরেই ভয়াবহ দূষণে ছেয়ে গেল কলকাতার বাতাস

দেশ জুড়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক সব ধরণের শব্দবাজিকে, এই আবেদনই জমা পড়ে দেশের শীর্ষ আদালতে। এর আগে ২০১৬ সালেও রাজধানী দিল্লির ৩ জন শিশুর আবেদনে সাড়া দিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত সেবারে সমস্ত ধরণের শব্দবাজি বিক্রিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ২০১৭ সালে সামান্য কিছু দিনের জন্যে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও পরে সবদিক খতিয়ে দেখে তা আবার বহাল করে সুপ্রিম কোর্ট।

.