This Article is From Aug 22, 2018

ইদ উল আযহা নিয়ে একগাদা নিষেধাজ্ঞা চাপাল যোগী আদিত্যনাথের সরকার

আজ বুধবার গোটা দেশ জুড়ে মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে ইদ উল আযহা। এর মধ্যেই যোগী আদিত্যনাথের সরকার ঘোষণা করে দিল যে, উত্তরপ্রদেশে প্রকাশ্যে পশুনিধন করা যাবে না।

গোটা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে বকরি ইদ।

লখনউ:

আজ বুধবার গোটা দেশ জুড়ে মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে ইদ উল আযহা। এর মধ্যেই যোগী আদিত্যনাথের সরকার ঘোষণা করে দিল যে, উত্তরপ্রদেশে প্রকাশ্যে পশুনিধন করা যাবে না। পশুবলির সময় সেলফি তোলাও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হল একইসঙ্গে। রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্স করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পুলিশ ও প্রশাসনিক প্রধানদের নির্দেশ দেন যে, কোনওভাবেই যাতে ইদ উল আযহার সময় প্রকাশ্যে পশুনিধন করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে। এছাড়া, যেখানে পশু জবাই করে হবে, সেই জবাইয়ের রক্ত যেন কোনওভাবেই নর্দমায় না মিশে যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে। এই নিয়মের অন্যথা হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করে দেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ট্রেন্ড ভীষণ চলছে। তা হল- বকরি ইদের সময় কোরবানির আগে ও কোরবানির পরে সংশ্লিষ্ট পশুটির সঙ্গে সেলফি নেওয়া। প্রথম সেলফির তলায় ক্যাপশন- ‘শেষ সেলফি’। দ্বিতীয় সেলফিটি পশুটির রক্তাক্ত দেহের সঙ্গে।

লখনউয়ের রাবিয়া নায়েক জানান, সরকারের এই নির্দেশ মেনে চলবেন তিনি। “ধর্ম আমাদের সহিষ্ণু হতে শিখিয়েছে। ভালোবাসতে শিখিয়েছে। কোনও ধর্মের অনুভূতিতে যাতে আঘাত না লাগে, তা নিশ্চিত করব আমরা”।

যোগী আদিত্যনাথ পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেন, কোনওভাবেই যাতে এই দিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহ ব্যাহত না হয়, তার দিকে লক্ষ রাখতে।

পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়, কোনও সুরক্ষিত প্রাণীকে যাতে কোরবানি দেওয়া না হয় তার দিকে খেয়াল রাখতে। এছাড়া, কাঁওয়ার যাত্রায় শিবভক্তদের যাতে কোনো রকম সমস্যা না হয়, তার দিকে কড়া নজর রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।

বকরি ইদ বা ইদ উল আযহা হল সমর্পণের উৎসব। ঈশ্বরের কাছে সমর্পণের ইসলামের বার্তাবাহক ইব্রাহিমের নিজের সন্তানকে কোরবানি দেওয়ার ঘটনা স্মরণ করেই এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়। মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা ছাগ মাংস খেয়ে ও বন্ধু এবং আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে তা বিতরণ করে দিনটি পালন করে।

.