This Article is From Jul 20, 2018

আক্রমণের পর আলিঙ্গন, রাহুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে বিজেপি:10'টি তথ্য

আজকের দিনটিকে  আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের শুরু হিসাবে দেখছে রাজনৈতিকমহল

জবাব দেওয়ার জন্য থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

হাইলাইটস

  • লোকসভার 533 জন সদস্যের মধ্যে 312 জন সদস্য হল এনডিএ’র
  • তেলুগু দেশম পার্টি লোকসভায় বিতর্ক শুরু করবে প্রথমে
  • কংগ্রেসের প্রধান বক্তা আজ রাহুল গান্ধী
নিউ দিল্লি: এক নজিরবিহীন সৌজন্যের সাক্ষী থাকল আজ সংসদ ভবন। তর্কযোগ্যভাবে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের তীক্ষণতম আক্রমণের গোলা মোদীর দিকে ছুঁড়ে দেওয়ার পর, গোটা সংসদ ভবনকে হতচকিত করে দিয়ে রাহুল গান্ধী সংসদের অধিবেশন চলাকালীনই আলিঙ্গন করলেন নরেন্দ্র মোদীকে। “আপানার আমাকে পাপ্পু বলে ডাকতে পারেন। কিন্তু, আপনাদের জন্য আমার মনে একফোঁটাও ঘৃণা নেই। আমি কখনও আপনাদের জন্য ঘৃণার উদগীড়ন করি না। একজন হিন্দু বলতে এটাই বোঝায়”, তাঁর প্রায় এক ঘন্টার বক্তব্যের শেষে এই কথা বলেন রাহুল। যে বক্তব্যের অনেকটা জুড়েই ছিল ব্যক্তিগত আক্রমণ। অন্যদিকে, লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের শুরুতেই বড়ো ধাক্কা খেল বিজেপি।

এই বিষয়ে 10'টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

1. তর্কযোগ্যভাবে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের তীক্ষ্ণতম আক্রমণের গোলা মোদীর দিকে ছুঁড়ে আজ ছুঁড়ে দিলেন কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধী। আক্রমণ করতে গিয়ে রাহুল বলেন, মোদী ভোটে জিতে এসে বলেছিলেন, তিনি দেশের মানুষের চৌকিদার। আসলে তিনি এখন ‘ভাগীদার’ হয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা প্রত্যেকেই জানি ও বুঝতে পারি, কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে মোদীজির কতটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। রাফাল চুক্তি তেমন একজন ব্যবসায়ীর হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে তাঁর কয়েক হাজার কোটি টাকার লাভ হয়। আমি দেখতে পাচ্ছি উনি (প্রধানমন্ত্রী) হাসছেন। কিন্তু, সেই হাসিতেও আতঙ্কের ছোঁয়া। এবং, এখন আর উনি আমার চোখের দিকে তাকাতে পারছেন না”।

2. বিজেডি ও শিবসেনা ভোটদান থেকে বিরত থাকায় সাংসদদের সংখ্যা কমে দাঁড়াল 495। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য আসন দরকার 249'টি।  

3. আজ সকালে টুইট করে, আজকের বিতর্ককে ভারতীয় সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন বলে অভিহিত করেন মোদী।

 

4. কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, “অনাস্থা ভোটের মঞ্চটি কেবলমাত্র সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে নেই। এই সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনাও এর একটি বড়ো উদ্দেশ্য। মানুষকে সত্যিটা জানানোই আমাদের লক্ষ্য”। 

5. বিজেডির কক্ষত্যাগের পর তাদের এক সাংসদ তথাগত শথপথি বলেন, "একদমই ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় ছিল না। আমরা বিজেপিকে সাহায্য করছি না"।

 

6. অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে প্রথমে বলা শুরু করে তেলুগু দেশম। কংগ্রেসের প্রধান বক্তা হলেন রাহুল গান্ধী।

7. "অতি গুরুত্বপূর্ণ এই অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কে প্রত্যেক বক্তাকে বক্তব্য পেশ করার জন্য অন্তত আধ ঘন্টা সময় দেওয়া উচিত", বলেন কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খারগে।

 

8. বিজু জনতা দলের পিনাকী মিশ্র এনডিটিভিকে বলেন, তাঁরা সম্ভবত অনাস্থা ভোট থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখবেন।

 

9. অর্থনীতির সম্প্রসারণের ফলে যে সুবিধা পাওয়ার দাবি করেছিল অন্ধ্রপ্রদেশ, অনাস্থা ভোটের জন্য ওই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা নির্ধারিত সময় থেকে সরিয়ে বুধবারই করে নেওয়া হয়।

 

10. বিরোধী পক্ষের তরফ থেকে আসা অনাস্থা প্রস্তাবের বিরোধিতা এর আগে করলেও, এবারে বিজেপি কোনও বাধা দেয়নি।



Post a comment
.