২০১৯ অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা: সোমবারই, ২০১৯-এ অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার (Nobel Prize in Economics) জয়ী হিসেবে ঘোষিত হয় ভারতীয় বংশোদ্ভুত অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhijit Banerjee) নাম, দারিদ্রতা দুরীকরণে অর্থনীতিতে তাঁর কাজের জন্য এই পুরস্কার জয়ী হিসেবে ঘোষিত হয় তাঁর নাম। সারা বিশ্ব থেকে সংবর্ধনা পেয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ, বাড়ি ফিরলে ক্ষুব্ধ মায়ের সামনে পড়তে হবে তাঁকে। কারণ, এই সুসংবাদটা মাকে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় (Nirmala Banerjee)। কলকাতার বাড়ি থেকে NDTV এর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, “পুরস্কার পাওয়ার ঘোষণা হওয়ার পর থেকে আমি ছেলের সঙ্গে কথা বলিনি, তবে গতকাল রাতে কথা বলেছিলাম। তখন সে সেটা বলেনি। আমি তাকে এটা বলব...এর জবাব আমায় দিতে হবে তাকে”।
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরিদ্রতা নিয়ে পড়াশোনা এবং তা দুরীকরণে সরকারী নীতি তৈরি নিয়ে কাজের কথা তুলে ধরেন তাঁর মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন বাঙালি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ৩ অর্থনীতিবিদ
সোমবার NDTV কে তিনি বলেন, “তাত্ত্বিক দিক থেকে অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় সে, এবং দারিদ্রতার বিরুদ্ধে মানুষ কীভাবে লড়াই করবে তা বুঝতে চায়, কোন নীতি তৈরি করে এই সমস্যা দূর করা যাবে তা খুঁজে পেতে চায় সে”। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “একটা সময়ে, আমরা অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতাম। বর্তমানে আমাদের দেশের অর্থনীতি নিয়েও সে কথা বলত”।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মা বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকা, আফ্রিকায় কাজ করেছে ওরা (ছেলে, এস্থার ডাফলো এবং মাইকেল ক্রিমার এবং অন্যান্য পুরস্কার জয়ীরা)...ইন্দেনেশিয়াতে কাজ করেছেন এস্থার। দারিদ্রতার দিকে তাদের লক্ষ্য রয়েছে এবং স্থানীয় অর্থনীতি কীভাবে তার সেই সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করছে, তা খুবই মজাদার”।
নোবেল পুরষ্কার পাওয়ায় অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
NDTV এর সঙ্গে তাঁর কথোপকথন চলাকালীনও প্রচুর ফোনকল এবং মেসেজ পান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মা, তিনি বলেন, ২০১৭-এ ছেলে মার্কিন নাগরিকত্ত্ব গ্রহণ করলেও, মনেপ্রাণে সে এখনও ভারতীয়। তিনি বলেন, “ও খুবই বেশীমাত্রায় ভারতীয়।ও নাগরিকত্ত্ব পরিবর্তে আগ্রহী ছিল না”।
২০১৯–এ অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (ছবিতে) এস্থার ডাফলো, মাইকেল ক্রিমার
নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অল্পবয়সে বরাবরই বইপোকা হয়ে থাকলেও, “লেখা ও খেলা”য় খুবই আগ্রহ ছিল তার। তিনি বলেন, “ও বরাবরই খুবই মেধাবী এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ ছাত্র ছিল। তার এই প্রাপ্তিতে আমি খুবই গর্বিত এবং খুশি”।.
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, পরে ১৯৮৮ তে আমেরিকার হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইডি করেন তিনি। বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনলজির অধ্যাপক পদে কর্মরত অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার, রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের তরফে, এবারের নোবেল পুরস্কারের জন্য ঘোষণা করে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, এস্থার ডাফলো এভং মাইকেল ক্রিমারের নাম।
PTI এর তথ্য সংযোজিত হয়েছে