প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কথা বলছেন Abhijit Banerjee
নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠক করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ২০১৯-এর নোবেল জয়ী (Nobel Prize) অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশিষ্ট ওই অর্থনীতিবিদের (Abhijit Banerjee) সঙ্গে বৈঠকের পর একটি টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি (PM Narendra Modi) লেখেন, "নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুর্দান্ত সাক্ষাৎ হল। মানব ক্ষমতায়নের প্রতি তাঁর অনুরাগ স্পষ্টভাবে বোঝা গেছে। বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের একটি স্বাস্থ্যকর ও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভারত তাঁর কৃতিত্বের জন্য গর্বিত। তাঁর ভবিষ্যতের প্রচেষ্টার জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই" । ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ভারতীয়-আমেরিকান অধ্যাপক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী এস্থার ডুফ্লো এবং আরেক অর্থনীতিবিদ মাইকেল ক্রেমারের সঙ্গে মিলিতভাবে ‘বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে পরীক্ষামূলক পদ্ধতির জন্য' ২০১৯ সালের নোবেল অর্থনীতি পুরস্কার পান।
প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলনের বিশেষ বিষয়গুলি হল:
- তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "আমার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎটি সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ভাল ছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদি সংবাদমাধ্যম আমায় কীভাবে মোদি বিরাধিতার ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করবে তা নিয়ে মজা করে সতর্ক করে দিয়েছেন... আমি মোদি বিরোধী বক্তব্যে জড়িয়ে যাই, এমন কোনও বিষয়ে আমি সংবাদমাধ্যমকে ঢুকতে দেব না"।
- তিনি বলেন, "ভারতে আমার কাজের একটি বড় অংশই ছিল শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়ে। এটি সর্বদা শিক্ষার মান বাড়ানোর বিষয়ে ছিল এবং নোবেল কমিটি সেই কাজকর্মগুলিকেই স্বীকৃতি দিয়েছে"।
- "বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবার সমস্যা হ'ল মানুষের টাকার কদর করা হয় না," বলেন ওই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।
- তিনি আরও বলেন যে, "যখন স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়, তখন আপনি ভাল চিকিৎসা করছেন কিনা তা দেখাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।"
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামোর একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যখনই কারও বড়সড় চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, তখনই একটি পরিবার তাঁর সমস্ত সম্পদ অর্থ হারাতে থাকে ... এটি স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকে দুর্বলতার একটি বড় ক্ষেত্র" ।
- মানব উন্নয়ন সূচকে ভারতের অধঃপতনের বিষয়ে একটি প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করে তিনি বলেন: "এইচডিআই-তে আমার কোনও অবদান নেই । সুতরাং, আমি এমন কিছু নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না যাতে আমি জড়িত নই"।