Read in English
This Article is From Dec 11, 2019

নোবেল মঞ্চ মাত বাঙালিয়ানায়! ধুতি-পাঞ্জাবী আর শাড়িতে স্টকহোমে সম্মান গ্রহণ অভিজিৎ-এস্থারের

Nobel Prize 2019: ৫৮ বছর বয়সী নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রিম রঙের পাঞ্জাবী এবং সোনালি পাড়ের সাদা কেরলের বিশেষ ধুতি বা মুন্ডু এবং গলাবন্ধ কালো জ্যাকেটে সেজেছিলেন।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from ANI)

নোবেলজয়ী ত্রয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, এস্থার ডুফ্লো, মাইকেল ক্রেমার

স্টকহোম :

অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে (Economic Sciences) ২০১৯ সালের নোবেল সম্মান (2019 Nobel Prize) অর্জন করেছেন ভারতীয়-আমেরিকান অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (Indian-American economist Abhijit Banerjee) এবং এস্থার ডুফ্লো (Esther Duflo) ও মাইকেল ক্রেমারের (Michael Kremer) জুটি! মঙ্গলবার সুইডেনে নোবেল সম্মান গ্রহণ করলেন তারা। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এস্থার ডুফ্লো স্টকহোমের কনসার্ট হলে এই বিশেষ পুরষ্কারের মঞ্চে উঠেছিলেন খাঁটি ভারতীয় পোশাকে। ৫৮ বছর বয়সী নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রিম রঙের পাঞ্জাবী এবং সোনালি পাড়ের সাদা কেরলের বিশেষ ধুতি বা মুন্ডু এবং গলাবন্ধ কালো জ্যাকেটে সেজেছিলেন। অন্যদিকে ফরাসি-আমেরিকান এস্থার ডুফ্লো এই বিশেষ দিনে নীলাম্বরী! নীল শাড়ি, লাল ব্লাউজ এবং লাল টিপে একেবারে ভিন্ন রূপে নোবেল সম্মান নিতে মঞ্চে ওঠেন স্বামী-স্ত্রী'র জুটি। প্রথাগত সংস্কৃতির পোশাকেই দেখা গিয়েছে অপর নোবেলজয়ী মাইকেল ক্রেমারকে। 

আরও পড়ুনঃ “পক্ষপাতদুষ্ট নই, বিজেপি সরকারের সঙ্গেও কাজ করেছি”, NDTV কে বললেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটি টুইট বার্তায় নোবেল পুরস্কার কমিটি এই পুরস্কার প্রাপক তিন অর্থনীতিবিদের একটি ছোট্ট ভিডিও শেয়ার করেছে।

“এই বছরের নোবেলজয়ীদের দ্বারা পরিচালিত গবেষণা বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের দক্ষতার যথেষ্ট উন্নতি করেছে। মাত্র দুই দশকের মধ্যে তাদের নতুন, পরীক্ষামূলক পদ্ধতি উন্নয়নের অর্থনীতিতে পরিবর্তন এনেছে। এটি এখন গবেষণার একটি সমৃদ্ধ ক্ষেত্র” নিজস্ব ওয়েবসাইটে জানিয়েছে নোবেল সংস্থা।

স্টকহোমের কনসার্ট হলে অর্থনীতিতে নোবেল সম্মান গ্রহণ করলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়  

অক্টোবর মাসে নোবেল সম্মানের ঘোষণার পরেই, ভারতীয় অর্থনীতির অবস্থা এবং সরকারের নীতি নিয়ে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করেন বিজেপি নেতারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের মতো অনেক বিজেপি নেতাই অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বামপন্থী' অর্থনীতিবিদ হিসাবে অভিহিত করেছিলেন। 

Advertisement

আরও পড়ুনঃ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়েছি, কিন্তু তাঁর তত্ত্বকে ভারতের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে: পীযূষ গয়াল

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নোবেলজয়ীর একটি বৈঠকও হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে জানিয়েছিলেন নোবেল বিজয়ীর সঙ্গে তাঁর ‘দুর্দান্ত সাক্ষাৎ' হয়েছে। “মানব ক্ষমতায়নের প্রতি তাঁর অনুরাগ স্পষ্টভাবেই দৃশ্যমান। বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর এবং বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। ভারত তার কৃতিত্বের জন্য গর্বিত। তার ভবিষ্যতের প্রচেষ্টার জন্য তাকে শুভেচ্ছা জানাই,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।

নোবেলের ৫০ বছরের ইতিহাসে নোবেল অর্থনীতি পুরস্কার অর্জনকারী দ্বিতীয় মহিলা হলেন এস্থার ডুফ্লো  

কলকাতায় জন্ম অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৎকালীন প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা শেষ করে ১৯৮৩ সালে নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। পরে ১৯৮৮ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে গবেষণা শুরু করেন।

Advertisement

ডঃ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডঃ এস্থার ডুফ্লো (৪৬) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এমআইটি) অধ্যাপক। ২০০৯ সালে অর্থনীতিতে প্রথম নোবেলজয়ী মহিলা ছিলেন এলিনোর অস্ট্রোম। তারপর নোবেলের ৫০ বছরের ইতিহাসে নোবেল অর্থনীতি পুরস্কার অর্জনকারী দ্বিতীয় মহিলা হলেন এস্থার ডুফ্লো।

Advertisement