সুইডেনের স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস-এ এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
স্টকহোম: ২০১৯ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার (Nobel Prize 2019) পেলেন জন বি গুডেনাফ, স্ট্যানলি হুইট্টিনগাম ও আকিরা ইয়োশিনো। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির উন্নতির জন্য অবদান রেখে তাঁরা নোবেল (Nobel Prize) পেলেন। রিমোট কন্ট্রোল থেকে মোবাইল ফোন সব নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যেই এই ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। সুইডেনের স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস-এ এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ মানুষ হিসেবে নোবেল পেলেন জন বি গুডেনাফ। তাঁর বয়স ৯৭। তিনি ৯১৪,০০০ ডলার মূল্যের ওই পুরস্কার সমান ভাগে ভাগ করে নিলেন জাপানি রসায়নবিদ আকিরা ইয়োশিনো ও ব্রিটিশ রসায়নবিদ স্ট্যানলি হুইট্টিনগামের সঙ্গে।
Nobel Prize: "বিশ্বের নয়া সংজ্ঞা" লিখে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার তিন বিজ্ঞানীর
পুরস্কার পাওয়ার পরে জাপানি রসায়নবিদ আকিরা ইয়োশিনো বলেন, ‘‘কৌতূহলই আমার জন্য প্রধান চালিকাশক্তি ছিল।''
জুরির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী তাঁদের উদ্ভাবনের দ্বারা ওয়্যারলেস ও জীবাশ্ম জ্বালানিবিহীন সমাজ গড়ে তোলার সঠিক শর্ত নির্মাণ করেছেন। তাঁরা আরও বলেন, হালকা, রিচার্জেবল ও শক্তিশালী ব্যাটারি সৌর ও বায়ুশক্তিও জমা করতে পারে। এর ফলে জীবাশ্ম জ্বালানিবিহীন সমাজ নির্মাণ সম্ভব হয়।
সাবধান! খাওয়া তো দূরের কথা একে ছুঁলেই মৃত্যু, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা
লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির মূলত তিনটি পর্যায়ে উন্নতি হয়েছে।
গত শতাব্দীর সাতের দশকে তেলের সংকটের সময় লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি উদ্ভাবিত হয়। সেই উদ্ভাবনের পিছনে ছিল স্ট্যানলি হুইট্টিনগামের অবদান। ওই ব্যাটারির অ্যানোড তৈরি হয়েছিল লিথিয়াম দিয়ে। যা সক্রিয়। ফলে বিস্ফোরণের ঝুঁকি থেকে যায়।
গত শতাব্দীর আটের দশকে মার্কিন বিজ্ঞানী জন বি গুডেনাফ ১৯৮০ সালে দেখান কোবাল্ট অক্সাইড লিথিয়ামের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ৪ ভোল্ট উৎপাদন করতে পারে।
এরপর আকিরা ইয়োশিনো প্রথম বাণিজ্যিক ব্যাটারি তৈরি করেন ১৯৮৫ সালে। তিনি লিথিয়ামের পরিবর্তে অ্যানোডে পেট্রোলিয়াম কেক ব্যবহার করেন। বিশুদ্ধ লিথিয়াম ব্যবহার না করে লিথিয়াম আয়ন ব্যবহার করে তিনি ওই ব্যাটারিকে কর্মক্ষম করে তোলেন।
সোমবার মেডিসিন ও পদার্থবিদ্যায় নোবেল প্রাপকদের নামও ঘোষিত হয়। যা ওই দিন পরে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস-এ প্রাপকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।