শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, এই ঘটনায় উভয়পক্ষই দায়ী।
নয়াদিল্লি: গত শনিবার দিল্লির তিস হাজারি আদালতে (Tis Hazari court) আইনজীবী-পুলিশ সংঘর্ষে ((clash between police and lawyers)) ৩০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, এই ঘটনায় উভয়পক্ষই দায়ী। শনিবারের সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার প্রতিবাদে শামিল হল পুলিশ কর্মীরা। তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়ে দাবি জানান, আইনজীবী ও অন্যান্যদের আক্রমণের হাত থেকে তাঁদের সুরক্ষার। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে শনিবারের সংঘর্ষের ছবি। এর মধ্যে অন্যতম, এক সিনিয়র মহিলা পুলিশ আধিকারিকের উত্তেজিত আইনজীবীদের একটি দলের হাতে নিগ্রহের ঘটনা। এদিল শীর্ষ আদালত জানাল, ‘‘এক হাতে কখনও তালি বাজে না। উভয় পক্ষেরই সমস্যা রয়েছে। আমরা এর বেশি কিছু বলতে চাই না। আমরা চুপ করে থাকছি একটি কারণে। কেউ যাতে বলতে না পারে আমরা তেমন করলাম যেমনটা তারা করেছে।''
মহিলা পুলিশ আধিকারিককে নিগ্রহ আইনজীবীদের, ধরা পড়ল ভিডিওয়
সংঘর্ষের পরের দিন দিল্লি হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়ার আগে আইনজীবীরা অভিযোগ জানান, তাঁরা পুলিশের টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন। বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র মোহিত মাথুর দাবি করেন, ‘‘পুলিশ আমাদের ভিলেন বানাতে চাইছে।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘একজন আইনজীবীকে ১৪ জন পুলিশ আধিকারিক টেনে নিয়ে গিয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজে সবই ধরা আছে।''
আরও একজন অভিযোগ জানিয়েছেন, মহিলা আইনজীবীরাও পুলিশের আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
গত শনিবার তিস হাজারি কোর্টে পুলিশের সঙ্গে আইনজীবীদের সংঘর্ষের নতুন সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। আর সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে এক সিনিয়র মহিলা পুলিশ আধিকারিককে। তিনি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সঙ্গে চারজন পুলিশ কর্মী। সেই সময় সেখানে উত্তেজিত আইনজীবীদের একটি দল উপস্থিত হয়। এবং তাঁকে ধাক্কা মেরে সেখান থেকে সরিয়ে দিতে থাকে।
গত রবিবার হাইকোর্ট পুলিশের তীব্র নিন্দা করে। দু'জন পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। দু'জনকে বদলি করা হয়েছে।
শনিবারের সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন পুলিশ কর্মী ও আটজন আইনজীবী আহত হয়েছেন। এছাড়াও অন্তত ২০টি মোটরসাইকেল, যার মধ্যে ৯টি পুলিশের, সেগুলিও ভাঙচুর করা হয়েছে।