Noida: ট্রাফিক পুলিশের অপমানে মৃত যুবক (ফাইল চিত্র)
নয়ডা: তীব্র কথা কাটাকাটি, রক্তচাপ বাড়ল চড়চড় করে, আর তারপরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন এক তরতাজা যুবক। হ্যাঁ, দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডায় (Noida)। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন (Motor Vehicles Act) করেছেন এই অভিযোগে ট্রাফিক পুলিশের (Traffic Police) সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ হওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ৩৫ বছরের ওই যুবক, এরপরেই হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত যুবকের বাবা অভিযোগ করেছেন যে, ট্রাফিক পুলিশের কাছে হেনস্থার হওয়ার কারণেই হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। নয়ডা পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লির কাছাকাছি গাজিয়াবাদে ওই ঘটনাটি ঘটেছে এবং জড়িত ট্র্যাফিক পুলিশ ওই জেলারই বাসিন্দা। জানা গেছে, ৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একটি সফ্টওয়্যার সংস্থায় কাজ করতেন। পুলিশ আধিকারিকদের মতে, ডায়াবেটিক ওই ব্যক্তি তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সঙ্গে গাড়িতে করে এক জায়গায় যাচ্ছিলেন, তখনই এক ট্রাফিক পুলিশ গাজিয়াবাদে সিআইএসএফ কাটের কাছে তাঁদের গাড়িটি আটকান।
স্কুটি চালকের মাথায় চালানের বজ্রাঘাত, ১৫০০০-এর স্কুটিতে ২৩০০০-এর জরিমানা!
নতুন ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ওই ট্রাফিক পুলিশ অত্য়ন্ত খারাপ ব্য়বহার করেন তাঁর ছেলের সঙ্গে, এমনটাই অভিযোগ করেছেন মৃত ব্যক্তির বাবা। "সবকিছুরই একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। ট্রাফিক আইন আরও কড়া হয়েছে জানি, কিন্তু তা প্রয়োগের জন্যে ট্রাফিক পুলিশ আধিকারিকদেরও বিনয়ী হওয়া প্রয়োজন। আমাদের গাড়ি এই নয় যে অত্যন্ত জোরে চলছিল। কোনও ব্যক্তির গাড়ির ভিতরে দেখার জন্যে তাঁকে বিনম্র ভাবে অনুরোধ করা প্রয়োজন। গাড়ির ভিতরে দুজন বয়স্ক মানুষ বসে আছেন, অথচ ওই ট্রাফিক পুলিশ গাড়ির গায়ে লাঠি দিয়ে মারতে থাকেন। আমি মনে করি না এটা কোনও গাড়ি পরীক্ষা করার উপায় বা ধরণ হতে পারে, বা এরকম কিছু নিয়ম রয়েছে", বলেন ছেলের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে বলেন তাঁর বাবা।
"সাদা ইউনিফর্ম পরা ওই ট্রাফিক পুলিশ কর্মীকে দেখে মনে হয়নি যে তিনি গাড়ির ভিতর পরিদর্শন করার মতো খুব উচ্চপদস্থ আধিকারিক বা এই সমস্ত বিষয় যাচাই করার জন্য অনুমোদিত কোনও আধিকারিক" একটি ভিডিও ক্লিপ দেখিয়ে অভিযোগ করেন বৃদ্ধ বাবা।
নেতার সঙ্গে তর্ক কেন! স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করাতে পাঠানো হল ট্রাফিক পুলিশকে
তিনি জানান, সোমবার নয়ডার ৫৮ নম্বর সেক্টরের আধিকারিকরা তাঁর কাছে এসেছিলেন। "ওই ট্র্যাফিক পুলিশ ভালভাবে কথা বললে হয়তো আমার এই দিনটি দেখতে হতো না, আমি আমার ছেলেকে হারিয়েছি, আমার ৫ বছরের নাতনী তাঁর বাবাকে হারিয়েছে" বলেন ওই বৃদ্ধ ব্যক্তি। "আমি জানি না কে ওর দেখাশোনা করবে, ভবিষ্যতে ওর যত্ন নেবে। আমি এখনই ৬৫ বছরের মানুষ। কে ছোট্ট মেয়েটিকে বড় করবে এবং ওর প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করবে?" বলেন তিনি।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ন্যায়বিচার পাওয়ার আবেদন জানান তিনি।