কলকাতার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বাস, ট্রাক ভাংচুর হয়
কলকাতা: শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ৪৮ ঘন্টা ব্যাপী বনধের আজ প্রথম দিন। সারা দেশব্যাপী এই বনধ ডেকেছিল সংগঠনগুলি মোদী সরকারের কয়েকটি নীতির বিরোধিতা করে। বনধ শুরু হয় সকাল ছ'টা থেকে। বনধের শুরু থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর আসতে থাকে রেল এবং পথ অবরোধের। সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী সহ বেশ কয়েকজন বনধ সমর্থক বামনেতাকে আটক করে পুলিশ কলকাতায়। রাজ্যের বিভিন্ন বামদলের একজোটে অভিযোগ, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নীতির বিরুদ্ধে ডাকা বনধকে 'ব্যর্থ' করতে উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্য সরকার। তাদের অভিযোগ, এর থেকেই কেন্দ্র ও রাজ্যের 'গোপন আঁতাত'-এর বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, "কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে কোনও কথা শুনতেই রাজি নয় রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকার। তৃণমূল এবং বিজেপি ওপর ওপর যেরকমই ভাবভঙ্গি করুক না কেন, ভেতরে ভেতরে ওদের আঁতাত রয়েছেই। এই বনধের বিরোধিতা করে রাজ্য সরকার আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতিগুলিকেই সমর্থন করে চলেছে"৷
পূর্ব রেল ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের শিয়ালদহ এবং হাওড়া শাখার বহু ট্রেন অবরোধের সম্মুখীন হয়। বেলঘরিয়া, খড়দহ, আসানসোল, লক্ষ্মীকান্তপুর, মধ্যমগ্রাম, ক্যানিং, হাসনাবাদ এবং বারাসাতের মতো বেশ কিছু জায়গায় রেল অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা।
এছাড়া, হুগলির রিষড়া, বীরভূমের রামপুরহাট, পূর্ব বর্ধমানের সমুদ্রগড়, পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর, হাওড়ার উলুবেড়িয়াতেও অবরোধ হয়।
কলকাতার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বাস, ট্রাক ভাংচুর হয়। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে ব্যস্ত রাস্তায় টায়ার পোড়ান বাম সমর্থকেরা।
যদিও, এই বনধের বিরোধিতা করে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এক-একটা মিছিলে ১০০ থেকে ২০০'টা লোক হচ্ছে। পুরো অপ্রাসঙ্গিক একটা ব্যাপার। গ্রেফতার বরণ করার জন্য নেতারা ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছে বলেও খবর পেয়েছি"।