Cyclone Bulbul: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রতি ঘণ্টায় ১১০-১২০ কি.মি. বেগে ঝোড়া হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা, গতিবেগ বেড়ে ১৩৫ কিলোমিটার-ও হতে পারে
নয়া দিল্লি: ভয়ঙ্কর ভাবে ডানা ঝাপটে এ রাজ্যের (West Bengal) দিকে ধেয়ে আসছে 'বুলবুল'। আর ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যেই বাংলা এবং ওড়িশার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে প্রবল বৃষ্টিপাত (Rain) শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর (আইএমডি) সূত্রে খবর, এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ওড়িশার উত্তর উপকূলীয় জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে কারণ বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল' উত্তর-পশ্চিম এবং পশ্চিম-বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন অঞ্চলের কাছাকাছি রয়েছে। ওড়িশার (Odisha) উত্তর উপকূলীয় জেলাগুলির মধ্যে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে পুরী, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক, বালাসোর এবং জগৎসিংহপুরে। এরপরে ওই ঘূর্ণিঝড়টির (Cyclone Bulbul) গতিপথ উত্তর-পূর্ব দিকে বেঁকে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী উপকূলগুলি অঞ্চল দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় বা গভীর রাতে অতিক্রম করার সম্ভাবনা। ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল'-এর জেরে এই অঞ্চলগুলিতে প্রতি ঘণ্টায় ১১০-১২০ কি.মি. বেগে ঝোড়া হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা, কখনও আবার ঝোড়া হাওয়ার গতিবেগ বেড়ে ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা-ও হতে পারে বলে খবর। আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কয়েকটি অঞ্চলে।
Cyclone Bulbul Update: আসছে ‘বুলবুল', সর্বোচ্চ ১৩৫ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
ইন্ডিয়ান মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট তার সর্বভারতীয় আবহাওয়া সংক্রান্ত বুলেটিনে জানিয়েছে যে, "বাতাসের গতিবেগ ধীরে ধীরে আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ৯ নভেম্বর সকালের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ১৪৫-১৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় হওয়া থেকে আরও বেড়ে ১৭০কিমি প্রতি ঘণ্টাতেও পৌঁছতে পারে, পরে যদিও ধীরে ধীরে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ কমবে"।
আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলবর্তী সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
Cyclone Bulbul : অতি ভয়ঙ্কর বুলবুল দ্রুত এগোচ্ছে রাজ্যে,কলকাতার কতটা দূরে ?
পাশাপাশি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল'-এর কারণে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, বিদ্যুৎ যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হতে পারে বলে খবর। সেই কারণে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খুব প্রয়োজন ছাড়া বাসিন্দাদের ঘরের বাইরে বের না হওয়ার ব্যাপারেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে