রইল সর্বশেষ ১০ টি তথ্য:
রবিবার হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও পাঞ্জাবে বৃষ্টিপাতের কারণে কমপক্ষে ২৮ জন মারা গেছে এবং ২২ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।রবিবার বৃষ্টিপাতের কারণে একা হিমাচল প্রদেশেই কমপক্ষে ২২ জনের মারা যাওয়ার খবর আছে এবং নয় জন আহত হয়েছেন।
আধিকারিক সূত্রে খবর পাওয়া গেছে সিমলায় ৯ জন এবং সোলানে ৫ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া কুলু, সিরমৌর ও চম্বায় ২ জন করে এবং ওনা ও লাহৌল-স্পিতি জেলায় একজন করে মারা গেছে।
যমুনা সহ অন্যান্য উপনদী গুলির জলস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশে বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, যমুনা নদীতে হথিনী কুন্ড জলাধার থেকে ৮.১৪ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।
হথিনী কুন্ড জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে হরিয়ানা সরকার যেকোনো আপৎকালীন স্থিতির জন্য সেনাদের প্রস্তুত থাকার অনুরোধ করেছেন।অন্যদিকে, হথিনী কুন্ড জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে দিল্লিতেও বন্যার সম্ভাবনা প্রবল ভাবে দেখা দিচ্ছে।
দিল্লি সরকার রবিবার দেশের রাজধানীতে বন্যার সতর্কতা জারি করেছে। এর পাশাপাশি নিচু অঞ্চলে বসবাসরত লোকদের সেখান থেকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে।কারণ মনে করা হচ্ছে, যমুনার জলস্তর সোমবার থেকে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
আধিকারিক সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় যমুনার জলস্তর ২০৩.৩৭ মিটার পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, সোমবার পর্যন্ত তা ২০৭ মিটার পর্যন্ত পৌঁছানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ হরিয়ানার হথিনী কুন্ড জলাধার থেকে সন্ধ্যা ৬ টায় ৮ লক্ষ কিউসেকের থেকে বেশি জল ছাড়া হয়েছে।
দিল্লির সমস্ত উপ-বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটদের সোমবার সকাল ৯ টার মধ্যে দিল্লি পুলিশ এবং সিভিল ডিফেন্সের স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় নিচু এলাকার থেকে লোকদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি সরকার জানিয়েছে, নিচু এলাকার লোকেদের থাকার ব্যবস্থা করার জন্য, তাঁবু খাটানোর কাজ চলছে।
গত বছর জুলাই মাসে যমুনা নদীর জলস্তর বিপদ সীমার ওপর থেকে প্রবাহিত হওয়ার সময় দেশের রাজধানীতে যমুনার ওপর স্থিত পুরানো ব্রিজ দিয়ে যাতায়াতের ব্যাপারে কিছু দিনের জন্য বাধা নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। গত বছর যমুনা নদীর জলস্তর ২০৫.৫ মিটারের ওপর পৌঁছেছিল।
অন্যদিকে, দক্ষিণভারতের কেরলে বন্যার ফলে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১২১ তে গিয়ে পৌঁছেছে। অন্যদিকে কর্নাটকে বৃষ্টির ফলে রবিবার মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৭৬ হয়ে গেছে। অন্যদিকে ১০ জন মারা গেছে এবং নিখোঁজ আরও ১০ জন।
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের পুণেতে বন্যার ফলে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৬ হয়ে গেছে। অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে আসা বন্যার জন্য সাঙ্গলী এবং কোলহাপুর প্রশাসনিক অঞ্চলের অন্তর্গত পাঁচটি জেলা এবং সোলাপুর, পুণে ও সতারা খন্ডের অন্যান্য জেলে গুলির পরিস্থিতি খুবই খারাপ।
(পিটিআই ও এএনআই থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে)