পুলিশকর্মী ও সাধারণ মানুষের উপরে আক্রমণের ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে জানান মনোজ তিওয়ারি।
হাইলাইটস
- উত্তেজক বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে দলীয় কর্মীদের আর্জি মনোজ তিওয়ারির
- হিংসার বলি হওয়া হেড কনস্টেবল রতনলালের বাড়ি যান তিনি
- পরে রাতের দিতে বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান মনোজ
নয়াদিল্লি: দিল্লির বিজেপি (BJP) সভাপতি মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwari) সমস্ত দলীয় নেতাদের উদ্দেশে শান্তি ফেরাতে একসঙ্গে কাজ করার আর্জি জানালেন। পাশাপাশি তিনি আর্জি জানালেন, কারও কাছে ভুল বার্তা যায় বা সংশয় তৈরি হয় এমন কিছু না করার জন্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মনোজ। তিনি বলেন, উত্তেজক বিবৃতি দেওয়া থেকে সকলের বিরত থাকা উচিত। সিএএ-র সমর্থনে উত্তর পূর্ব দিল্লির মৌজপুরে জনতার উদ্দেশে উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। দিল্লি বিজেপির তরফে দেওয়া এক বিবৃতিতে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দিল্লিতে শান্তি ফেরানোয় অগ্রসর হওয়ার আর্জি জানানো হয়।
দিল্লিতে হিংসার বলি বেড়ে ১৮, ঘটনাস্থলে অজিত ডোভাল
ওই বিবৃতিতে দিল্লি বিজেপি জানিয়েছে, ‘‘মনোজ তিওয়ারি সমস্ত বিজেপি নেতার কাছে আর্জি জানিয়েছেন, দিল্লিতে শান্তি ফেরাতে সম্ভাব্য সমস্ত পদক্ষেপ করতে। কোনও নেতার এমন কিছু করা উচিত নয়, যা থেকে সংশয় তৈরি হয় এবং জনতার কাছে ভুল বার্তা যায়। উত্তেজক বিবৃতি দেওয়া থেকে সকলের বিরত থাকা উচিত। কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃত ভাবে দিল্লির সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।''
দিল্লির সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ ঘণ্টায় তৃতীয় বৈঠক অমিত শাহের
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘‘সংঘর্ষে যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে তা অস্বস্তিকর। দেশের সব মানুষের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার ও বাক স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু প্রতিবাদের নামে মানুষকে বিব্রত করার অধিকার নেই।''
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের সঙ্গে মনোজ তিওয়ারি সোমবার হিংসার বলি হওয়া হেড কনস্টেবল রতনলালের বাড়ি যান তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। রতনলালের মৃত্যেতে শোকপ্রকাশ করে তিনি বলেন, পুলিশকর্মী ও সাধারণ মানুষের উপরে আক্রমণের ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
পরে রাতের দিতে তাঁরা বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান।
দিল্লির প্রাক্তন সভাপতি সুভাষ চোপড়া অমিত শাহর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিয়ে শান্তি কমিটি গঠনের ডার দেন ও উস্কানিমূলক মন্তব্যের ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপের দাবি করেন।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নিন্দা করে সুভাষ চোপড়া বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে রাজঘাটে গিয়ে প্রার্থনা না করে শহরে শান্তি ফেরাতে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত ছিল তাঁর।