Read in English
This Article is From Oct 22, 2019

“সরকারের সঙ্গে বিরোধিতা নেই”, NDTV কে বললেন ফেসবুকের আইনজীবী মুকুল রোহতাগি

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর, ঘৃণ্য মন্তব্য, অবমাননাকর পোস্ট,দেশদ্রোহী কার্যকলাপে নিয়ন্ত্রণ আনতে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নয়া আইন, সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে সরকার

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by
নয়াদিল্লি:

“ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং জাতীয় নিরাপত্তা”, দুইয়ের মধ্যেই সমন্বয় সাধনের জন্য রাস্তা খুঁজছে ফেসবুক, NDTV কে এমনটাই জানালেন সোশ্যাল মিডিয়া (social media) জায়ান্ট ফেসবুকের (Facebook) আইনজীবী মুকুল রোহতাগি (Mukul Rohatgi) । সরকারের যুক্তি, ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের যে পদ্ধতি রয়েছে, তাতে যোগাযোগ এবং বার্তা পাঠানোর সুবিধা হচ্ছে জঙ্গি এবং দেশদ্রোহীদের। ভুল তথ্য ছড়ানো নিয়ে উদ্বেগের পর, অপব্যবহারের পথ বন্ধ করতে রাস্তা খুঁজছে হোয়াটসঅ্যাপ। তবে তারা জানিয়ে দিয়েছে, এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন লঘু করার কোনও প্রশ্নই নেই। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে, মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত বলে, দেশজুড়ে এই বিষয়ক সমস্ত মামলাগুলি একত্র করে জানুয়ারির শেষে শুনানি করা হবে।

১৫ জানুয়ারির মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করার বিধি: সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র

মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টে মুকুল রোহতাগি বলেন, স্থানীয় আইনে বলা নেই, যে সরকারকে তথ্য দেবে সংস্থা। NDTV কে তিনি বলেন, “সরকারের সঙ্গে আমাদের সংঘাত নেই। আমরা এমন পথ খুঁজছি, যাতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং জাতীয় নিরাপত্তার মধ্যে ভারসাম্য রাখা যায়”। আদালতে, মুকুল রোহতাগি যুক্তি দেন, যে আইন রয়েছে, সংস্থার বার্তা বা মেসেজের ডিক্রিপ্ট করার দায়িত্ব দেয়নি বর্তমান আইন। ভারতের বাইরে থাকা ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের সার্ভারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, “আইন বলে, যদি আমার কাছে সেই চাবি থাকত, তাহলে দিতে পারতাম। কিন্তু আমার নিজের কাছেই সেই চাবি নেই”।

Advertisement

সরকারের তরফে কেকে বেণুগোপাল সুপ্রিম কোর্টে বলেন, জাতীয় নিরাপত্তায় কোনও আশঙ্কা থাকলে, সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্ব তা সরকারকে জানানো। তিনি বলেন, “একজন জঙ্গি গোপনীয়তা দাবি করতে পারে না”।

সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট, কড়া নির্দেশিকার প্রস্তাব

Advertisement

অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল বলেন, “ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রে, তারা বলছে মেসেজ ডিক্রিপ্ট করতে পারবে না, এটা গ্রহণযোগ্য নয়”। তিনি বলেন, “তারা দেশে আসতে পারে না, এবং এভাবে বলতে পারে না, যে ডিক্রিপ্ট করা যায় না এমন একটি সিস্টেম চালু করবে তারা”।

ব্যাপক বিতর্কের পর, সরকারের বিরুদ্ধে বাত স্বাধীনতার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা, গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশও করেছে তারা, কেন্দ্র জানায়, দুয়ের প্রতিই দায়বদ্ধ তারা।

Advertisement

আজকের সেরা খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন: 

গত মাসে তারা একটি বিবৃতিতে জানায়, তবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রয়োজন এটা নিশ্চিত করা যে, সন্ত্রসবাদকে প্ররোচিত করা, বিচ্ছিন্নতাবাদ, হিংসা এবং অপরাধকে প্রচোরনা দিতে তাদের প্লাটফর্ম ব্যবহৃত হবে না।

Advertisement