মোহন ভাগবত জানান, ঐতিহ্য অনুসারে এই দেশ ‘হিন্দুত্ববাদী’।
মুম্বই: দেশের ১৩০ কোটি মানুষই নাকি হিন্দু! অন্তত এমনটাই দাবি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (Rashtriya Swayamsevak Sangh) বা আরএসএসের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের! তবে বিজেপির এক মিত্র দলের প্রতিমন্ত্রীই একেবারেই মেনে নিতে পারেননি যে সংঘ ভারতের ১৩০ কোটি মানুষকে ধর্ম ও সংস্কৃতি নির্বিশেষে হিন্দু সমাজ হিসাবে বিবেচনা করবে। বিজেপির মিত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালে (Union Minister Ramdas Athawale) মোহন ভাগবতের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছেন। “এমনটা বলা ঠিক হবে না যে সমস্ত ভারতীয়ই হিন্দু। এক সময় ছিল যখন আমাদের দেশে সবাই বৌদ্ধ ছিল। মোহন ভাগবতের কথার অর্থ যদি সবাই ‘ভারতীয়' হয়, তবে ভাল। আমাদের দেশে বৌদ্ধ, শিখ, হিন্দু, খ্রিস্টান, পারসি, জৈন, লিঙ্গায়াত ধর্ম এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে,” এএনআইকে বলেন কেন্দ্রীয় সামাজিক বিচার প্রতিমন্ত্রী।
নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে জামা মসজিদের বাইরে বিপুল জমায়েত
ডঃ বি আর আম্বেদকর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (Republican Party of India) (আরপিআই) একটি দলের প্রধান হলেন রামদাস আঠাওয়ালে।
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত হায়দরাবাদে সংগঠনের একটি বৈঠকে মন্তব্য করেন: “ভারতমাতার পুত্র, তিনি যে কোনও অঞ্চলের বাসিন্দা হন, যে কোনও ভাষা বলুন, যে কোনও উপাসনায় বিশ্বাস রাখুন বা কারও পুজোতেই বিশ্বাস না রাখুন তিনি আসলে একজন হিন্দু... এই জন্যই সংঘের কাছে ভারতের ১৩০ কোটি মানুষ হিন্দু সমাজেরই অংশ।”
পৌষের অকাল বর্ষণে জবুথবু কলকাতা! কেমন রইবে বর্ষশেষের আবহাওয়া?
বিজেপির মতাদর্শিক পরামর্শদাতা সংঘের প্রধানের এই মন্তব্যের বিরোধিতা জানিয়েছেন মায়াবতী দল এবং এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি মতো বিরোধী নেতৃত্ব। “আরএসএস চায় ভারতের একটাই ধর্ম থাকা উচিত। যতক্ষণ দেশে আম্বেদকরের তৈরি সংবিধান রয়েছে ততক্ষণ এমন হতে পারে না। এই দেশ সব ধর্মকে বিশ্বাস করে,” বলেন ওয়াইসি।
“পুরো সমাজটাই আমাদের এবং সংঘের লক্ষ্য এই জাতীয় সংঘবদ্ধ সমাজ গড়ার,” বলেন মোহন ভাগবত। তিনি আরও জানান, ঐতিহ্য অনুসারে এই দেশ ‘হিন্দুত্ববাদী'।
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে হিংসাত্মক বিক্ষোভ চলাকালীন রামদাস আঠাওয়ালে অবশ্য সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াতের সমালোচনা বিষয়ে একমত হয়ে বলেছিলেন, “যারা অগ্নিসংযোগ ও হিংসায় জনগণকে নেতৃত্ব দেন তারা নেতা নন।”
রামদাস বলেন, “সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের বক্তব্য একেবারে সঠিক যে আমাদের নেতাদের উচিৎ জনগণকে হিংসার পথে না নিয়ে যাওয়া। আমি সকল প্রতিবাদকারীদের অনুরোধ করছি সরকারের কাছে তাদের দাবি জানাতে, তবে শান্তিপূর্ণভাবে। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন মুসলিম বিরোধী নয়।”