This Article is From Apr 13, 2019

ইতিহাসের সেই নোতরদাম গির্জার মূর্তি সার বেঁধে উড়ছে আকাশে! অভূতপূর্ব দৃশ্য

নিউ টেস্টামেন্টের (the New Testament) ১২ টি যিশুর নির্বাচিত ধর্মপ্রচারক (apostles) এবং চারজন ধর্মযাজকের (evangelists) মূর্তি সরানো হল।

ইতিহাসের সেই নোতরদাম গির্জার মূর্তি সার বেঁধে উড়ছে আকাশে! অভূতপূর্ব দৃশ্য

মূর্তিগুলি ক্যাথিড্রালের অভ্যন্তরে প্রদর্শিত হবে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের ডর্ডগন এলাকায় একজন বিশেষ পুনরুদ্ধারকারীর কাছে দু’টি দু’টি করে পাঠানো হবে।

প্যারিস:

নীল আকাশের বুকে উড়ে যাচ্ছে ধাতবমূর্তি। ঐতিহাসিক নোতরদাম গির্জা (Notre-Dame cathedral) থেকে যেন খুলে বেরিয়ে এসে আকাশ পথে কোথাও যাচ্ছে সারিসারি মূর্তি, উড়ে যাচ্ছে.... আক্ষরিক অর্থেই হাঁ নীচের মানুষজন দেখছেন পাথরের উড়ে যাওয়ার অভূতপূর্ব দৃশ্য। প্যারিসের বিখ্যাত নোতরদাম ক্যাথিড্রাল থেকে আসলে আকাশ পথে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১৬ টি ব্রোঞ্জ মূর্তি। প্রাচীন এই মূর্তিগুলির পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ করার জন্যই এমন অভূতপূর্বভাবে সেগুলিকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বিশ্বখ্যাত এই স্থাপত্য তথা গির্জার পর্যটকদের বৃহস্পতিবার বিস্মিত করে দেয় এমন অনবদ্য আকাশযাত্রা। বহু প্রাচীনকালে নির্মিত ব্রোঞ্জের ওই ভারী মূর্তিগুলির মধ্যে রয়েছে নিউ টেস্টামেন্টের (the New Testament) ১২ টি যিশুর নির্বাচিত ধর্মপ্রচারক (apostles) এবং চারজন ধর্মযাজকের (evangelists) মূর্তি। সুবিশাল ক্রেন দিয়ে ক্যাথিড্রালের প্রাচীনতম মূর্তিগুলিকে নিমেষে শূন্যে তুলে ফেলা হয়।

মূর্তিগুলির সংস্কারের দায়িত্বে থাকা মারি হেলেন ডিডিয়ার সংবাদ সংস্থাকে বলেন, “১৮৬০-এর দশকে ভায়োলেট-লে-ডুক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় মূর্তিগুলি। মজার বিষয় হল, সেই সময়ের পর থেকে প্রথম এত কাছ থেকে দেখলাম মূর্তিগুলোকে। তিনি বলেন, “এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা কারণ আমরা একদিনে ১৬ টি মূর্তি নিয়ে এসেছি। এটা প্রত্যেকের জন্য জাদুমুহূর্ত ছিল বলা যেতে পারে।” 

সীমান্তে কাঁদছে একরত্তি শিশু, অভিবাসনের বিশ্বসেরা ছবি তুললেন এই চিত্রসাংবাদিক

১১৬৩ থেকে ১৩৪৫ সালের মধ্যবর্তী সময়ে নির্মিত হয়েছিল নোতরদাম। প্যারিসের জনপ্রিয় পর্যটনস্থানের মধ্যে কেবল নোতরদামেই প্রতি বছর প্রায় ১৩ মিলিয়ন মানুষ ঘুরতে আসেন।

গথিক ইডিফাইসের বাকি অংশটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, দূষণ এবং আবহাওয়া দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূর্তিগুলির ক্ষয়ক্ষতির মেরামতের জন্য ফরাসি রাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ১১ মিলিয়ন ইউরো (১২.৪ মিলিয়ন ডলার) ছাড়িয়ে গিয়েছে।

“অসাধারণ,” বলেন লন্ডনের একজন দর্শক সোফিয়ান। নীল আকাশের বুক চিরে দৈত্যাকার ১০০ মিটারেরে ক্রেনে করে উড়ে যাচ্ছিল যেন ঐতিহাসিক মূর্তিগুলি। সোফিয়ান অবাক হয়ে এই উড়ন্ত মূর্তির সফর দেখছিলেন, বলেন “আমি জীবনে এমন জিনিস দেখিনি!” 

জানেন, কৃষ্ণগহ্বরের প্রথম ছবি প্রকাশ্যে আনলেন কোন বিজ্ঞানী?

মূর্তিগুলি ক্যাথিড্রালের অভ্যন্তরে প্রদর্শিত হবে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের ডর্ডগন এলাকায় একজন বিশেষ পুনরুদ্ধারকারীর কাছে দু'টি দু'টি করে পাঠানো হবে।

সমস্ত মূর্তির পুনর্নবীকরণ করা হয়ে গেলে ২০২২ সালে সিটি অফ লাইটের উপর আবার তাদের অবস্থান ফিরিয়ে দেও হবে মূর্তিগুলিকে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.