Read in English
This Article is From May 25, 2018

প্রধানমন্ত্রী মোদি বিশ্বভারতীর সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না, বিরক্ত মমতা

সময়ের অভাবের কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মান ‘দেশিকোত্তম’ দিতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদির এই সিদ্ধান্তের বিরূদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

শান্তিনিকেতন: সময়ের অভাবের কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বভারতীর বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মান ‘দেশিকোত্তম’ দিতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদির এই সিদ্ধান্তের বিরূদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য সবুজকলি সেন জানিয়েছেন, অনিবার্য কারণে এর আগেও বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এই সম্মানটি প্রদান না করতে পারার নজির রয়েছে। এই সব ক্ষেত্রে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এই সম্মানটি প্রদান করা হয়ে থাকে।
“এই সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানটি সময় নিয়ে সমস্যার কারণে আপাতত পিছিয়ে যাচ্ছে। ষাটের দশকেও এরকম ঘটনার নজির রয়েছে। ওই সময়েও সম্মানটি যথাসময়ে প্রদান করা সম্ভব হয়নি এই কারণে। পরে, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হাতে তা তুলে দেওয়া হয়”। শ্রীমতি সেন আজ শান্তিনিকেতনে সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও ঘটনাটি নিয়ে নিজের অসন্তোষ লুকিয়ে রাখেননি। তিনি বলেন, তিনি এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন।
গত এপ্রিল মাসে বিশ্বভারতীর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন, লেখক অমিতাভ ঘোষ, কবি ও গীতিকার গুলজার, লেখিকা সুনীতি কুমার পাঠক, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, পদার্থবিদ অশোক সেন এবং শিল্পী যোগেন চৌধুরীকে ‘দেশিকোত্তম’ দিয়ে সম্মান দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল এই নামগুলিকে চলতি মাসেই অনুমোদন করেন।
শান্তিনিকেতনে পৌঁছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যাআ অত্যন্ত অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “আমি ভীষণ বিরক্ত হয়েছি। যাঁদের এই সম্মান পাওয়ার কথা ছিল, এর ফলে তাঁরা এটা পাবেন না। অমিতাভ বচ্চনের নাম ছিল ওখানে। দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের নাম ছিল ওখানে। তাঁরা এই সম্মান ( দেশিকোত্তম ) পাওয়ার যোগ্য। সমস্ত রাজনীতির ঊর্দ্ধ্বে এই মানুষগুলো। এটা তাঁদের পাওয়া উচিত ছিল”।
“তাঁরা কী কারণে এই সম্মান পাচ্ছেন না, তার মধ্যে আমি ঢুকতে চাই না। তবে, আমি হতভম্ব এবং বিরক্ত”। বলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানান বিশ্ববারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আসা তাঁর কাছে নতুন কোনও ব্যাপার নয়।
তিনি বলেন, “এইবারে আমি এখানে এসেছিল, কারণ, ভারত এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এখানে উপস্থিত থাকবেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠান কোনও রাজনীতি করার জায়গা নয়। বিশ্বভারতী আমাদের গর্ব”।

(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
Advertisement