চিনে হান্টা ভাইরাস সংক্রমণ: মূষিক নিয়ন্ত্রণ এই সংক্রমণ রোধের প্রতিষেধক। (প্রতীকী ছবি)
করোনা মহামারীর মধ্যেই চিনে থাবা বসিয়েছে হান্টা ভাইরাস (Hanta Virus)। এই ভাইরাস সংক্রমণে এখনও পর্যন্ত এক জনের মৃত্যুর (One Death Reported in China) খবর মিলেছে। সংক্রমিত ৩২। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে চিনের দৈনিক সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির সঙ্গে বাসে সহযাত্রী ছিলেন, এমন ৩২ জন সংক্রমিত। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সিডিসি জানিয়েছে, ক্ষুরধার দাঁত এমন জীব অর্থাৎ ইঁদুর, ছুঁচো; জাতীয় প্রাণী এই ভাইরাসের বাহক। তাদের মল,মুত্র, লালার মাধ্যমে ছড়ায় এই ভাইরাস। কোনও সময় সেই বাহকের কামড় থেকেও এই ভাইরস সংক্রমিত হয়। সিডিসি আরও দাবি করেছে এই ভাইরাস সংক্রমণের জেরে হান্টাভাইরাস পালমোনারি উপসর্গ বা হেমোরেজিক জ্বর সঙ্গে রেনাল উপসর্গ দেখা যায়।
আইওসি চিফ ও জাপান প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনার পর অলিম্পিক্স পিছনোর নিশ্চয়তা
ভাইরাস উপসর্গ:
হান্টাভাইরাস পালমোনারি উপসর্গে জ্বর, শারীরিক অস্বস্তি, পেশিতে ব্যাথা। বিশেষ করে থাই, কোমর, পিঠ আর কাঁধের পেশিতে ব্যাথা অনুভব হয়। এর সঙ্গে মাথা ব্যাথা, বমি-বমি ভাব, পেট খারাপ আর পেটে ব্যাথা অনুভব হয়। প্রাথমিক লক্ষ্মণগুলো বাদ দিলে ৪-১০ দিনের মাথায় কাশি ও নিঃশ্বাসের সমস্যা দেখা যায়। এই উপসর্গের কারণে ৩৮% মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।
হেমোরেজিক জ্বর সঙ্গে রেনাল উপসর্গ এক থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে শরীরে দানা বাঁধে। কোনও কোনও উপসর্গ দু'মাস পরেও দেখা যায়। এই উপসর্গের জেরে মাথা ব্যাথা, পেটে ও পিঠে ব্যাথা। জ্বর, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হতে শুরু করে। গায়ে চুলকানি এই ভাইরাস সংক্রমণের অন্যতম উপসর্গ। পরের দিকে, নিম্ন রক্তচাপ, কিডনি সমস্যা দেখা দেয়। পুরোপুরি সেরে উঠতে এক সপ্তাহ কিংবা এক মাস লেগে যায়। এই রোগে ১%-১৫% রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা।
"করোনা মানে কেউ বাড়ির বাইরে বেরবেন না", প্রধানমন্ত্রীর ১০টি উক্তি
চিকিৎসা:
সিডিসি বলেছে, এই রোগের কোনও চিকিৎসা নেই। নেই প্রতিষেধক।তবে একেবারে প্রথমদিকে সংক্রমণ ধরা গেলে, আইসিইউ-তে রেখে পর্যাপ্ত পর্যবেক্ষণে সেরে উঠতে পারে সংক্রামিত রোগী। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে অক্সিজেন সাপোর্ট একমাত্র দাওয়াই।
প্রতিরোধ:
মূষিক দমন এই ভাইরাস সংক্রমণের প্রতিরোধী। সেই মূষিকের মল, মুত্র, লালা কিংবা থাকার জায়গার সংস্পর্শে এলেই এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে।