অমিত শাহ জানিয়েছেন, এনপিআর এনআরসির জন্য ব্যবহৃত হবে না।
নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার সরকার ঘোষণা করেছে জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার তথা এনপিআরের (NPR) কথা। সেখানে অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে বাবা-মায়ের জন্মস্থান ও জন্মের তারিখের কথাও (Date And Place Of Birth Of Both Parents)জানানোর কথা বলা হয়েছে। ২০১০ সালের এনপিআর-এর সঙ্গে এর তফাত রয়েছে বলে অনেকেই দাবি করেছেন। এবং এর সঙ্গে নতুন করেই মাত্রা পেয়েছে এনআরসি (NRC) প্রসঙ্গে তৈরি হওয়া বিতর্কও। নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন অনুসারে ১৯৮৭ সালের পরে যারা জন্মেছে, তাদের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের মধ্যে অন্তত একজনকে নাগরিক হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচকদের দাবি, দেশব্যাপী জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরি হলে বাবা-মায়ের জন্মস্থান ও জন্মের তারিখ প্রয়োজন হবে। একথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সংসদ ও সংসদের বাইরে অনেকবার বলেছেন।
NRC এবং NPR-এর মধ্যে পার্থক্য কী? যা প্রতিটি ভারতীয়ের জানা দরকার: আসাউদ্দিন ওয়াইসি
শেষবারের এনপিআরে ১৫টি রকম তথ্য সংগৃহিতীত হয়েছিল। এবার তা বেড়ে হয়েছে ২১। এর মধ্যে শেষ বসবাসের ঠিকানা, পাসপোর্ট নম্বর, আধার নম্বর, ভোটার আইডি, ড্রাইভারস লাইসেন্স নম্বর ও মোবাইল নম্বরের কথাও বলা হয়েছে। এগুলি আগের বার ছিল না।
বাবা-মায়ের নাম এবং স্বামী বা স্ত্রীর নাম একসঙ্গে করে একটিই পয়েন্ট হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
পরস্পরবিরোধী কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি টুইট করে জানিয়েছেন, ‘‘সরকার ৮,৫০০ কোটি টাকা খরচ করে এনপিআর আপডেট করতে চাইছে। এনপিআরে সবাইকে বাবা-মায়ের জন্মস্থান ও জন্মের তারিখ বলতে বলা হয়। এছাড়াও ২১টি আরও পয়েন্ট করতে বলা হয়। ২০১০-এ এনপিআরের সময়ে এর অধিকাংশই জানতে চাওয়া হয়নি।''
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অমিত শাহ জানিয়েছেন, এনপিআর এনআরসির জন্য ব্যবহৃত হবে না। তিনি আরও জানান, এনআরসি নিয়ে কোনও কথা হয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘এনপিআর হল জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার, যার ভিত্তিতে প্রকল্প তৈরি হয়। এনআরসির মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয় কীসের ভিত্তিতে কেউ ভারতের নাগরিক। এই দুই পদ্ধতির মধ্যে কোনও যোগসূত্র নেই। এনপিআরের তথ্য এনআরসির জন্য ব্যবহৃত হবে না।''