অসম-মেঘালয় ক্যাডারের ১৯৯৫ ব্যাচের আইএএস আধিকারিক Prateek Hajela
হাইলাইটস
- অসম এনআরসি কো-অর্ডিনেটর ছিলেন ৪৮ বছরের প্রতীক হাজেলা
- তাঁকে মধ্যপ্রদেশে বদলি করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
- এনআরসি নিয়ে তাঁকে রাজনৈতিক দল ও সমাজকর্মীদের সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়
নয়া দিল্লি: অসম এনআরসির (Assam NRC) তালিকা তৈরির কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলাকে (Prateek Hajela) মধ্যপ্রদেশে বদলির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তবে যতদিন পর্যন্ত না এই বদলি প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এনআরসি-র কো-অর্ডিনেটর হাজেলা সর্বোচ্চ মেয়াদে ডেপুটেশনে থাকবেন বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ। সরকার পক্ষের আইনজীবী, অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল হাজেলাকে বদলি করার কোনও নির্দিষ্ট কারণ আছে কিনা তা শীর্ষ আদালতের কাছে জানতে চান। তাঁর প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন যে, "হ্যাঁ, একটি কারণ আছে" । যদিও নির্দেশে সেই কারণ দর্শানো হয়নি। দেশের শীর্ষ আদালতের আচমকা এই নির্দেশে অনেকেই অবাক হয়েছেন।
“বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিন”, বিদেশী ঘোষিতের দেহ ফিরিয়ে দিল পরিবার
প্রতীক হাজেলা (৪৮) অসম-মেঘালয় ক্যাডারের ১৯৯৫ ব্যাচের আইএএস আধিকারিক। তাঁকে অসমের নাগরিক তালিকা সংশোধন করার জন্যে খসড়া তালিকার তদারকি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আসমের নাগরিক পঞ্জিকরণ একটি জটিল প্রকল্প যা সাম্প্রদায়িক এবং ভাষাতাত্বিক বিভাজন সম্পর্কিত বিতর্ককে উস্কে দিয়েছে।তাঁকে একজন দক্ষ টেকনোক্র্যাট হিসাবে দেখা হয়েছিল যিনি এই কাজটি সবচেয়ে ভালভাবে সম্পন্ন করতে পারেন।
প্রতীক হাজেলা ৫০,০০০ আধিকারিকের একটি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আইআইটির ওই প্রাক্তন ছাত্রের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া অসমের নাগরিক তালিকা নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। তিনি রাজনৈতিক দলসমূহ ও নাগরিক সমাজ সংস্থার সমালোচনারও মুখোমুখি হন। এমনকি অসম এনআরসি নিয়ে অভিযোগ জানান বেশ কয়েকজন বড়সড় বিজেপি নেতাও। তাঁদের অভিযোগ ছিল যে অনেক হিন্দু, যাঁরা সেখানকার প্রকৃত নাগরিক, তাঁদের নাম বাদ গেছে নাগরিকদের সংশোধিত তালিকা থেকে।
বিদেশী ঘোষিত ব্যক্তির মৃত্যু অসমে, দেহ নিতে অস্বীকার পরিবারের
অসমের নাগরিক তালিকা নিয়ে ক্রমশই ক্ষোভ বাড়ছে। গত মাসে একটি মুসলিম সংগঠন প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে এনআরসি থেকে "প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক"-দের নাম বাদ দেওয়া নিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করে।
অসমের এনআরসিতে নাম তোলার আবেদন করেছিলেন ৩,৩০,২৭,৬৬১ জন। তার মধ্যে চূড়ান্ত তালিকায় ঠাঁই পায় ৩,১১,২১,০০৪ জনের নাম। মোট ১৯,০৬,৬৫৭ জনের নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়ে, এমনটাই জানানো হয়েছে এনআরসির রাজ্য কো-অর্ডিনেটরের দফতরের তরফে। বাদ পড়া ব্যক্তিরা তালিকা প্রকাশের ১২০ দিনের মধ্যে ফরেনার্স ট্রাইবুনালে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে আবেদন করতে পারবেন বলেও জানানো হয়।
দেখুন ১৭.১০.২০১৯-এর সেরা খবর:
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)