Read in English
This Article is From Nov 20, 2019

বাংলায় এনআরসি করতে দেব না, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

অমিত শাহ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতোই অসমে এনআরসি করা হয়েছে, পাশাপাশি তিনি জানান, যখন দেশজুড়ে আপডেট করা হবে, তারমধ্যে অসমও থাকবে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

বাংলায় এনআরসি করতে দেবেন না বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নয়াদিল্লি/কলকাতা:

জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (National Register of Citizens) করা হবে দেশজুড়ে, এবং তা ধর্মের ভিত্তিতে বিচার্য হবে না, বুধবারই একথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, এই ধরণের কোনও কিছু করতে দেবে না তাঁর সরকার। বুধবার অমিত শাহ রাজ্যসভায় বলেন, এনআরসির (NRC) প্রথম তালিকায় ধর্মের ঊর্দ্ধে সমস্ত ভারতীয় নাগরিকের নাম চিহ্নিত করা হবে। পাশাপাশি তিনি জানান, অন্য সম্প্রদায়ের মানুষরা জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর বাইরে থাকবে, এরকম কোনও নিয়ম নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ধর্মের ওপর আঘাত আসার কারণে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিশ্চান শিখ এবং পার্সিদের ভারতীয় নাগরিকত্ত্ব দেওয়ার বিষয়টি গ্রহণ করেছে কেন্দ্র।

সারা দেশেই এনআরসি হবে, তবে কোনও ধর্মেরই তাতে উদ্বেগের কিছু নেই: অমিত শাহ

প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “দেশজুড়ে এনআরসি করা হবে। সকল ধর্মের ঊর্দ্ধে কারও চিন্তার কোনও চিন্তার কারণ নেই। সকলকে এনআরসির আওতায় আনতেই এই পদক্ষেপ”। তিনি বলেন, “সব ধর্মের মানুষ, যারা ভারতের নাগরিক, তাঁদের তালিকাভুক্ত করা হবে। ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজের কোনও প্রশ্নই নেই। এনআরসি একটি আলাদা পদ্ধতি এবং নাগরিকত্ত্ব সংশোধনী বিল আলাদা পদ্ধতি”।

Advertisement

অমিত শাহ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতোই অসমে এনআরসি করা হয়েছে, পাশাপাশি তিনি জানান, যখন দেশজুড়ে আপডেট করা হবে, তারমধ্যে অসমও থাকবে।  

অসমে পুনঃপ্রবর্তিত হতে পারে নাগরিকত্ব বিল, জানালেন বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির করা অসম সংযুক্তিরণ চুক্তির অঙ্গ এনআরসি, এবং সেটি কখনই দেশজুড়ে কার্যকর করা যায় না। তিনি বলেন, “কিছু মানুষ এনআরসির নামে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি পাকাতে চাইছে। আমি পরিষ্কার করে দিতে চাই, বাংলায় আমরা এনআরসি করতে দেব না”। বুধবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেউ আমাদের নাগরিকত্ত্ব কেড়ে নিতে পারবে না, এবং আপনাদের শরণার্থী করে দিতে পারবে না। ধর্মের নামে কোনও বিভাজন করতে পারবে না”। পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি নিয়ে কথা বলার আগে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অসমে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে কেন ১৪ লক্ষ বাঙালি হিন্দুর নাম বাদ গেল, বিজেপিকে তার জবাব দিতে হবে।

দেশজুড়ে এনআরসি করা হবে, জানালেন অমিত শাহ

Advertisement

অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে প্রকাশিত এনআরসি খারিজ করে দেওয়া হয়। গুয়াহাটিতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে, এই বিজেপি নেতা বলেন, বর্তমান অবস্থায় এনআরসি খারিজ করার জন্য দলের তরফেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “এনআরসি মেনে নেয়নি অসম সরকার। অসম সরকার এবং বিজেপির তরফে, এনআরসি খারিজ করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে”।

এনআরসির আগের কোঅর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলার নিন্দা করে, অসমের মন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারকে দূরে রেখেই পুরো কাজটি করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “পুরো দেশ মনে করে, এনআরসি করেছে অসম সরকার। প্রত্যেকের জন্যই আমরা এই ক্ষত বহন করছি। মরা পুরো পদ্ধতির গলদ নিয়ে চিন্তিত”।  

Advertisement

NRC: এ রাজ্যে কিছুতেই নয়, নাগরিক তালিকা কার্যকর করার বিরুদ্ধে তৃণমূল

রাজ্যসভায় অমিত শাহ বলেন, অসমে যাঁদের নাম খসড়া তালিকায় ওঠেনি, তাঁরা ট্রাইবুনালে যেতে পারেন। তিনি বলেন, “অসমজুড়েই ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়েছে। যদি কারও ট্রাইবুনালে যাওয়ার মতো অর্থ না থাকে, তাহলে আইনজীবীর খরচ জোগাবে অসম সরকার”। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিশ্চান, শিখ এবং পারসি শরণার্থীদের দেশের  নাগরিকত্ত্ব দেওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে সরকার,  সেই কারণেই নাগরিকত্ত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill) প্রয়োজন। তিনি বলেন, “ধর্মের ওপর আঘাতের কারণে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সমস্ত শরণার্থীদের বিলের আওতায় নাগরিকত্ত্ব দেওয়া হবে”।

Advertisement

আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন: 

অমিত শাহ বলেন, বিলটি লোকসভায় পাশ হয়েছে, এবং সিলেক্ট কমিটি সেটি অনুমোদনও করেছে, তবে রাজ্যসভায় আটকেছে। তাঁর কথায়, “এবার এটা আসবে। এরসঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্ক নেই”।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement