ব্যাঙ্কের অধিকর্তার পাশাপাশি জয়রাম একটি তেলেগু চ্যানেলের এমডিও ছিলেন।
হাইলাইটস
- এনআরআই ব্যবসায়ী সি জয়রামের হত্যার নেপথ্যে ছিল হ্যানি ট্যাপ
- অন্ধপ্রদেশের বাসিন্দা জয়রাম বেশ কিছু দিন ধরে ফ্লোরিডায় থাকতেন
- মূল অভিযুক্ত রাকেশ রেড্ডি এবং শ্রীনিবাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
এনআরআই ব্যবসায়ী সি জয়রামের হত্যার নেপথ্যে ছিল হ্যানি ট্যাপ। পুলিশি তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। অন্ধপ্রদেশের বাসিন্দা জয়রাম ফ্লোরিডায় থাকতেন। আর তিনি হ্যানি ট্র্যাপেরে শিকার হয়েছিলেন। এক ব্যক্তি এবং তার গাড়ির চালক গ্রেফতার করে এমনই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাকেশ রেড্ডি এবং তার গাড়ির চালক শ্রীনিবাসকে সংবাদমাধ্যমের সামনে নিয়ে আসেন পুলিশ কর্তারা। বছর ৫৫-র জয়রাম ফ্লোরিডার একটি ব্যাঙ্কের অধিকর্তার পদে কাজ করতেন। গত ৩১ জানুয়ারি বিজয়ওয়ারা কাছে নিজের গাড়িতে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই তখন থেকে তদন্ত চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। থেকেই রেড্ডির বিষয় জানতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন রেড্ডির থেকে আগে নেওয়া চার কোটি টাকার ঋণ ফেরত দিতে না পারাতেই খুন হয়েছেন জয়রাম।
“একবছরের বেশী সময় ধরে যোগাযোগ নেই মমতার সঙ্গে”, বললেন নবীন পট্টনায়েক
ব্যাঙ্কের অধিকর্তার পাশাপাশি জয়রাম একটি তেলেগু চ্যানেলের এমডিও ছিলেন। সেটি এখন বন্ধ। পুলিশের দাবি হোয়াটসঅ্যাপে অন্য মহিলার ছবি ব্যবহার করে রেড্ডি জয়রামকে ফাঁদে ফেলে। অন্য একটি মোবাইল নম্বরও ব্যবহার করে সে। আলাপচারিতার পর জয়রামকে তাঁর বাড়িতে আসতে বলে রেড্ডি। বাড়ি আসতেই গাড়ির চালককে সঙ্গে নিয়ে জয়রামের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে রেড্ডি। সুদ সহ ৬ কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু জয়রামের কাছে ছিল মাত্র ৬ লাখ টাকা। আর সেই কারণেই রেড্ডি জয়রামকে খুন করেছে বলে মনে করে পুলিশ। খুনের পর দেহ গাড়িতে রেখে আসে তারা। বাড়ির কয়েকটি দরজায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ। এরই সঙ্গে বাকিদের থেকে পাওয়া তথ্যও হাতে আসে পুলিশের। এই দুটিকে সামনে রেখেই রেড্ডি এবং তাঁর গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কয়েকদিন আগেও হ্যানি ট্র্যাপের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যানি ট্র্যাপের শিকার হয়ে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে তথ্য পাচার করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন এক সেনা জওয়ান। ধৃত সেনা জওয়ানের নাম সোমবীর। তদন্তে জানা গিয়েছে সে অনিকা চোপড়া নামে এক ফেসবুক গ্রাহকের সঙ্গে নিয়মিত কথোপকথন চালাত। সেটি আইএসআইয়ের অ্যাকাউন্ট বলে জানতে পারা গিয়েছে।