Coronavirus Red Zones in India: দেশে করোনা ভাইরাস অতি সংক্রমিত এলাকার সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে, জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
হাইলাইটস
- দেশে করোনা ভাইরাসের অতি সংক্রমিত এলাকার সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে
- আগে যেখানে রেড জোন ছিল ১৭০ টি, তা এখন কমে হয়েছে ১৩০ টি
- তবে দেশে "গ্রিন জোন" আগে ছিল ৩৫৬ টি, সেটিও এখন কমে ৩১৯ টি হয়েছে
নয়া দিল্লি: ভারত জুড়ে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) হটস্পট বা "রেড জোন" (Coronavirus Red Zones in India) এর সংখ্যা ক্রমশই কমছে। সরকার জানাচ্ছে যে গত ১৫ দিনের মধ্যে প্রায় ২৩ শতাংশ কমেছে দেশের অতি সংক্রমিত এলাকাগুলো। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৫ এপ্রিল যেখানে অতি সংক্রমিত এলাকাগুলোর সংখ্যা ছিল ১৭০ সেখানে ৩০ এপ্রিল তা কমে এসে দাঁড়িয়েছে ১৩০ এ। যদিও একেবারে সংক্রমণ নেই এমন এলাকা অর্থাৎ "গ্রিন জোন"-এর (Coronavirus Green Zones in India) সংখ্যাও কমে গেছে। আগে যেখানে দেশে "গ্রিন জোন" ছিল ৩৫৬ টি, এখন সেটি কমে গিয়ে হয়েছে ৩১৯ টি। "গ্রিন জোন" বলতে সেই এলাকাগুলোকেই বোঝায় যেখানে নতুন করে সেভাবে কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। সেভাবেই আগে যেখানে অনেক জেলাতেই ২৮ দিনের মধ্যে নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছিলেন না কেউ, সেটাই কমে এসে দাঁড়িয়েছে ২১ দিনে। অর্থাৎ সংক্রমণ যে সর্বস্তরে কমে যাচ্ছে এমনটা কিন্তু নয়। কিন্তু "রেড জোন" কমার ফলে এটাই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, দেশে এবার ধীরে ধীরে করোনা ভাইরাসের তীব্রতা হ্রাস পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রধান সচিবদের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্সের পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি চিঠিতে জানায় যে, দেশে "অরেঞ্জ জোন"-এর সংখ্যা ২০৭ থেকে বেড়ে ২৮৪ হয়েছে।
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার পেরলো, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত
ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, "রেড এবং অরেঞ্জ জোন দুটো ক্ষেত্রের দিকেই বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। জেলায় জেলায় এই ভাইরাসের সংক্রমণের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা জরুরি"।
চিঠিতে "স্পষ্টভাবে ওই সংক্রমিত এলাকাগুলোতে বাইরে থেকে কারো প্রবেশ ও সেখান থেকে কারো প্রস্থান বন্ধ করাটা জরুরি। চিকিৎসা পরিষেবার মতো জরুরি পরিষেবা এবং প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবা ছাড়া আর সব ধরণের যাতায়াত বন্ধ রাখতে হবে"। কন্টেইমেন্ট জোনগুলির বিষয়ে এই নির্দেশ সহ আরও প্রয়োজনীয় নানা ব্যবস্থা গ্রহণেরও রূপরেখা দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে ।
NDTV-র হাতে এসেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সেই চিঠি:
সমস্ত রাজ্যের সরকারকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তাদের তরফে প্রতিনিধি প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে COVID-19 এর লক্ষণ কারো শরীরে আছে কিনা তা চিহ্নিত করে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের কোয়ারান্টাইন করে। এভাবে ডোর-টু-ডোর স্ক্রিনিং চালালেই করোনা সংক্রমণ রোখা যাবে, মনে করছে সরকার।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ওই মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েছেন ১,৯৯৩ জন মানুষ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও, গত একদিনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ৭৩ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৫,০৪৩ জন এবং মারা গেছেন মোট ১,১৪৭ জন।
Coronavirus Red Zones: দেখা যাচ্ছে যে গত ১৫ দিনের মধ্যে দেশে "রেড জোন"-এর সংখ্যা কমেছে
শুক্রবার সকালে দেশে করোনা পুনরুদ্ধারের হার বেড়ে ২৫.৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ৮,৮৮৯ জন। বৃহস্পতিবারই, সরকার জানিয়েছে যে গত দু'সপ্তাহের তুলনায় এই সুস্থ হওয়ার পরিমাণ বেড়ে ১৩ শতাংশ হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা আগে যে হারে দ্বিগুণ হচ্ছিল তাও এখন অনেক কমেছে। বর্তমানে ১১ দিন অন্তর দ্বিগুণ হচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, আগে যেখানে ৩.৪ দিন অন্তর দ্বিগুণ হচ্ছিল।
করোনা সংক্রমণ রুখতে জনপ্রিয় কেরলের ছাতা মডেল, ওড়িশাতেও ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ
দেশে সংক্রমণ রুখতে টানা লকডাউন জারি রয়েছে। আগামী ৩ মে সেই লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এরপর লকডাউন পুরোপুরি উঠে যাবে, নাকি এর মেয়াদ বাড়ানো হবে, সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে ইঙ্গিত এমনটাই যে লকডাউন সার্বিকভাবে তুলে নেওয়া হলেও অতি সংক্রমিত এলাকাগুলোতে বহাল থাকবে বিধিনিষেধ।