কয়েক হাজার মানুষ এদিন শপথগ্রহণ দেখতে রামলীলা ময়দানে উপস্থিত ছিলেন। (ফাইল ছবি)
হাইলাইটস
- দিল্লি গঠনের বিশেষ ৫০ "কারিগরকে" আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রামলীলা ময়দানে
- শিক্ষক, স্কুল টপার, চিকিৎসক, অটো শ্রমিক; ছিলেন এই তালিকায়
- এঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন কেজরিওয়াল
নয়াদিল্লি: দিল্লি নির্মাণের কারিগররা রবিবার রামলীলা ময়দানে উপস্থিত হয়েছিলেন। আম আদমি পার্টির (AAP) তরফে বিশেষ আমন্ত্রণ পাঠিয়ে এই ৫০ জন 'কারিগর'কে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসার আহ্বান জানানো হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিলেন; শিক্ষক, চিকিৎসক, পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারী পড়ুয়া, অটো চালক, কেয়ার টেকার এবং স্যানিটেশন কর্মীরা। রাজ্য তথা সমাজ গঠনের কারিগর হিসেবে এঁরা বিশেষ আমন্ত্রিত ছিলেন। আমন্ত্রিত সেই ৫০ জনকে মঞ্চে ডেকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejariwal) বলেছেন, এই অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথিদের সঙ্গে পেয়ে আমি আনন্দিত। এঁরাই দিল্লি গঠনের কারিগর। দিল্লি কে চালান? অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লি চালান না! কিংবা অন্য কোনও রাজনৈতিক নেতারা দিল্লি চালান না। দিল্লি চালান শিক্ষক, চিকিৎসক, অটো চালক, বাস চালক এবং কারখানার মালিকরা। ওরাই কর্মসংস্থানে সাহায্য করেন।
ফিরে এলেন অমিত শাহের বাড়ির দিকে যাত্রা করা শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীরা
এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক টেনিস তারকা সুমিত নাগাল, অটো শ্রমিক লক্ষ্মণ চৌধুরী, স্কুলশিক্ষক মনু গুলাটি প্রমুখ।
এদিন এই বিশেষ আমন্ত্রিতদের একে একে মঞ্চে ডাকেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল আর জমায়েতের উদ্দেশে তাঁদের পরিচয় করান। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দলবীর সিং প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, উনি আগে শিক্ষকতা করতেন কিন্তু এখন অবসর নিয়ে চাষের কাজ করেন। দিল্লিবাসীর মুখে খাবার তুলে দেন। এদিন অপরহরণের চেষ্টা ব্যার্থ করে দেওয়া বাস মার্শাল অরুণ কুমার এবং মেট্রো মোটরম্যান নিধি গুপ্তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন রামলীলায় উপস্থিত জনতাদের। তাঁর দাবি, একটা শহর এগোচ্ছে মানে, তার পিছনে এঁদের অবদান।"
“বিরোধীদের মন্তব্য আমি ক্ষমা করে দিচ্ছি”, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সেরা ১০ উক্তি
এদিকে, রামলীলা ময়দানে রবিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথ গ্রহণ করলেন অরবিন্দ কেজরিয়াল, দিল্লির লালকেল্লার বাইরের এলাকায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। এদিন শপথগ্রহণের ভাষণে, দিল্লির জনতাকে জয় উৎসর্গ করেন এবং বলেন, “নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়েছে, আপনি যাকেই ভোট দিন না কেন, সেটা কোনও ব্যাপার নয়, আপনি আমার পরিবারের সদস্য। দলীয় বিষয় কখনই আমায় কাজ থেকে বিরত রাখেনি”। তাঁর বিরুদ্ধে যেসমস্ত মন্তব্য করা হয়েছিল, তার জন্য বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন বলেও জানান কেজরিওয়াল, পাশাপাশি বলেন, দিল্লির উন্নয়নে সবার সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি।