রসোগোল্লা এবার বাংলা-ওড়িশা দু'জনার
ভুবনেশ্বর: রসগোল্লা তুমি কার? দ্বন্দ্ব শেষ। ২০১৭-র নভেম্বরে রসগোল্লার ওপর পশ্চিমবঙ্গ জিআই ট্যাগ (GI tag) পাওয়ার পর সোমবার এই ট্যাগ যাকে বলে হাতে-গরম পেল ওড়িশাও (Odisha)। সোমবার থেকে জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন বা জিআই ট্যাগ মতে, রসগোল্লার (Rasagola) দাবিদার হিসেবে উচ্চারিত হবে ওড়িশার নামও। চেন্নাইয়ের জিআই রেজিস্ট্রি সংস্থার দেওয়া এই বিশেষ সংশাপত্র গ্রাহ্য হবে ২০২৮-এর ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই সংশাপত্রের জোরে মিষ্টিটি ওড়িশার আঞ্চলিক মিষ্টি হিসেবে চিহ্নিত হল।
জনসংযোগে “দিদিকে বলো”, হেল্পলাইন চালু করল তৃণমূল কংগ্রেস
পশ্চিমবঙ্গ এই বিশেষ শংসাপত্র পাওয়ার পরেই ওড়িশার মিষ্টির দাবিদার হিসেবে প্রযোজনীয় সমস্ত কাগজপত্র জমা দেয়। অবশেষে তার যেন মধুরেণ সমাপয়েৎ ঘটল।
জিআই ট্যাগ পাওয়ার পরেই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক জানান, তিনি ভীষণ আনন্দিত ওডি়শা এউ বিশেষ সংশাপত্র পাওয়ার জন্য। বহু যুগ ধরে পুরীতে প্রভু জগন্নাথ দেবের ভোগ হিসেবে রসগোল্লা দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। সেই মিষ্টি এবার আঞ্চলিক খ্যাতি পেল। পট্টনায়েকের কথার সুর পুরীর মন্দিরের পুরোহিতদের গলাতেও। তাঁদের কথায়, ১২ শ শতাব্দী থেকে জগন্নাথ দেবের ভোগ হিসেবে দওয়া হয় এই মিষ্টি। ১৫ শ শতাব্দীতে ওড়িয়া কবি বলরাম দাস তাঁর 'ডান্ডি রামায়ণ' কাব্যে রসগোল্লার নাম উল্লেখ করেছিলেন।
ভারতের নতুন বিলিওনিয়ার হলেন ৩৭ বছরের প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক
তবে জগন্নাথ দেবের অন্যতম গবেষক অসিত মহান্তি জানিয়েছেন ১৯৬৮ সালে বাংলায় এই মিষ্টির প্রচলন করেন নবীন চন্দ্র দাস। তারপরেই হাইকোর্টে ওড়িশার পক্ষ থেকে রসগোল্লার স্বত্ত্ব চেয়ে মামলা দায়ের করা হয়। আজ ট্যাগ পাওয়ার পর থেকে বাংলার মতোই ওডি়শাও রসগোল্লার সমান দাবিদার।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)