This Article is From Mar 25, 2019

১৯৫১ সাল থেকে ভোট দিচ্ছেন দেশের প্রবীণতম এই ভোটার, বাদ পড়বে না ২০১৯-ও

নির্বাচন কমিশন সিস্টেম্যাটিক ভোটারস এডুকেশন অ্যান্ড ইলেক্টোরাল পার্টিসিপেশন প্রচারাভিযানের জন্য শ্যামসরণকে ব্র্যান্ড অ্যাম্ব্যাসাডর নিয়োগ করেছে

১৯৫১ সাল থেকে ভোট দিচ্ছেন দেশের প্রবীণতম এই ভোটার, বাদ পড়বে না ২০১৯-ও

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha elections 2019) সকলকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন শ্যামসরণ নেগি (Shyam Saran Negi)

শিমলা:

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দেশে সংঘঠিত সমস্ত নির্বাচনে ভোট দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন দেশের প্রবীণতম ভোটার শ্যামসরণ নেগি (Shyam Saran Negi)। গণতন্ত্রের দৃঢ় বিশ্বাসী এই মানুষ চান যে, অন্যান্য ভারতীয়রাও তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভোট দেওয়ার সুযোগ যাতে না হারান। রাজ্য নির্বাচন কমিশন তার SVEEP বা সিস্টেম্যাটিক ভোটারস এডুকেশন অ্যান্ড ইলেক্টোরাল পার্টিসিপেশন (Systematic Voters' Education and Electoral Participation) প্রচারাভিযানের জন্য শ্যামসরণকে ব্র্যান্ড অ্যাম্ব্যাসাডর হিসেবে নিয়োগ করেছেন। তাঁর মাধ্যমে ১৯ ই মে লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে জনগণের কাছে শীঘ্রই আপিল জারি করা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা গোপাল চাঁদ (Chief Electoral Officer Gopal Chand)। 

শর্ট স্কার্ট পরা, পুরুষদের সঙ্গে বসা নিষিদ্ধের ফতোয়া জারি এই মেডিক্যাল কলেজে

শ্যামসরণ নেগি তার ছোট ছেলে চান্দের প্রকাশের সাথে রাজধানী থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দূরে কিন্নৌর জেলার ছোট্ট সুন্দর গ্রাম কল্পাতে থাকেন। ২০১৪ সালে ৮০ বছর বয়সে তাঁর স্ত্রী প্রয়াত হন। শ্যামসরণ নেগি (Shyam Saran Negi) আইএএনএসকে বলেন, “আমি সকল ভোটার, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের কাছে আবেদন করছি একজন সৎ লোককে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিতে। যিনি দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন।”

শ্যামসরণ নেগি শ্রবণশক্তিহীন, তবু অভ্যাসে রেডিও শুনতে পছন্দ করেন। আগামী ১ জুলাই ১০৩ বছরে পা দেবেন তিনি। তিন পুত্র এবং পাঁচ কন্যা সহ তাঁর বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি, তাঁদেরও সন্তান নিয়ে ভরা সংসার। ২০০২ সালে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র মারা যান। চান্দের প্রকাশের মতে, তাঁর বাবা নিজস্ব রুটিন অনুযায়ী কাজ করেন এবং এখনও চোখে বেশ ভালোই দেখতে পান। নির্বাচনের কর্মকর্তাদের একটি দল গত সপ্তাহেই শ্যামসরণ নেগির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কুশল বিনিময় করেন। 

এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন, রাহুলকে নপুংশক বললেন বিজেপির মন্ত্রী

১৯৭৫ সালে সরকারি স্কুল থেকে অবসর নেন শ্যামসরণ নেগি। স্বাধীন ভারতের প্রথম লোকসভা নির্বাচনে ১৯৫১ সালে প্রথম ভোট দেন তিনি চিনি লোকসভা কেন্দ্র থেকে। পরে এই কেন্দ্রের নাম হয় কিন্নৌর।

সেই সময়ে, রাজ্য ও দেশের অন্যান্য জায়গায় বরফের বেষ্টিত এলাকায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ২০১০ সালে নির্বাচন কমিশনের হীরক জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে এই প্রবীণ ব্যক্তিকে বিশেষ সম্মাননা প্রদানের জন্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নবীন চাওলা শ্যামসরণ নেগির গ্রামে যান।

শ্যামসরণ নেগি (Shyam Saran Negi) ১৯৫১ সাল থেকে প্রতিটি সাধারণ নির্বাচন, বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও ভোট দেবেন বলেই অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি ভোট দেব, এবং সবার প্রথম যারা ভোট দেবে তাঁদের মধ্যে প্রথম আমিই ভোট দেব।” নির্বাচন বিভাগের কাছে শ্যামসরণ নেগির একটি ভিডিও রয়েছে। সেই ভিডিওতে ধরা আছে ২০০৭, ২০১২ এবং ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এবং ২০০৯ এবং ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন এই প্রবীণ মানুষ।

কল্পা গ্রাম মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের অংশ, যার মধ্যে কুলু এবং মান্ডি সহ চাম্বা ও শিমলা জেলার অংশ রয়েছে। রয়েছে আদিবাসী অধ্যুষিত কিন্নৌর ও লাহুল ও স্পিতি জেলাও।

.