Read in English
This Article is From Aug 03, 2018

এবিপি নিউজের সাংবাদিকদের পদত্যাগ নিয়ে সংসদে তোলপাড়

একটি বিখ্যাত হিন্দি খবরের চ্যানেলের দুজন গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক পুণ্য প্রসুন বাজপেয়ী এবং ম্যানেজিং এডিটর মিলিন্দ খান্দেকরের পদত্যাগ নিয়ে আজ তোলপাড় হয় সংসদে ।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

Highlights

  • কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সমালোনামূলক রিপোর্টের জেরে পদত্যাগ দুই সাংবাদিকের
  • মন্ত্রী বলেন কাউকেই সরকারের পক্ষ থেকে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি।
  • বিরোধীদের দাবি, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই কোপ পড়বে গলায়
নিউ দিল্লি:

সাংবাদিকদের ওপর সরকারের আক্রমণ অব্যাহত। একটি বিখ্যাত হিন্দি খবরের চ্যানেলের দুজন গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক পুণ্য প্রসুন বাজপেয়ী এবং ম্যানেজিং এডিটর মিলিন্দ খান্দেকরের পদত্যাগ এই বিতর্ককে সামনে এনে দিল।  সংসদেও আজ এই নিয়ে কথা হয়। বিরোধীরা সেখানে অভিযোগ করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সমালোচনা করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করার জন্যই সরকারের কোপের মুখে পড়ল এবিপি নিউজের ওই দুই সাংবাদিক।  আজ লোকসভায় কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খারগে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার কারণে বিজেপি সরকারকে একহাত নেন।

“শেষ কয়েকটি বছরে এমন উদাহরণ রয়েছে বেশ কিছু, যেখানে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ও তাদের নিজেদের কাজ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে।  অভিযোগের তীর নরেন্দ্র মোদীর সরকারের দিকে। যখনই সংবাদমাধ্যম এই সরকারের কাজগুলির বাস্তব চিত্রটি তুলে ধরার চেষ্টা করতে গিয়েছে, তখনই তাদের বিভিন্নধরনের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। যদি এই দেশে কথা বলার স্বাধীনতাই না থাকে, তবে আমরা কথা বলব কী করে”? প্রশ্ন করেন তিনি।

কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠোর এই অভিযোগকে সরাসরি নাকচ করে দেন। তাঁর কথায়, এবিপি নিউজে অসত্য রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল।  কিন্তু, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।  তিনি বলেন, দর্শক কমে যাওয়ার কারণেই সম্ভবত ওই দুই সাংবাদিককে বরখাস্ত করেছে চ্যানেল।

Advertisement

“যে চ্যানেলের কথা উনি বলছেন, তারা ভুল খবর দেখাচ্ছিল।  তা সত্ত্বেও, সরকার তাদের কোনও শো-কজ নোটিস পাঠায়নি।  সরকার যদি হস্তক্ষেপ করতে চাইত, তাহলে তা একমাত্র ফ্রি-ডিশ (রাষ্ট্রীয় স্যাটেলাইট টিভি পরিষেবা)-এর কারণে হতে পারত। কারণ, সেটি সরকারের”, বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “এই ব্যাপারটি নিয়ে সরকারের আসলে কিছুই করার নেই। এই চ্যানেলটির টিআরপি পড়ে যাওয়ার মূল কারণ হল একটাই- চ্যানেলটিকে দর্শকদের আর পছন্দ হচ্ছে না। সেটা না স্বীকার করে, তার বদলে সব দোষ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর”।

Advertisement

গত মাসে, ওই চ্যানেলের ‘মাস্টারস্ট্রোক’ শো’তে দেখানো হয় যে, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ছত্তিশগড়ের এক মহিলা ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলে জানান যে, তাদের কৃষকদের বর্তমান আয় মোদী সরকারের আমলে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। ওই শো’টিতে রীতিমত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে দেখানো হয়, এই কথাটি ওই মহিলার মুখ দিয়ে বলানোর জন্য কীভাবে তাঁর মগজধোলাই করা হয়েছিল।

Advertisement