নিজের চটি খুলে সুলতান সিংকে প্রকাশ্যেই মারতে থাকেন বিজেপির সোনালি ফোগাত।
নয়াদিল্লি: ‘আপত্তিজনক' মন্তব্য করায় প্রকাশ্যে হরিয়ানায় এক আধিকারিককে চড় মেরে বারে বারে চটিপেটা করলেন টিকটক তারকা তথা বিজেপি নেতা সোনালি ফোগাত। এই মারধরের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়েও পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ২০১২ সালের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সোনানি ফোগাত, যদিও হারের মুখ দেখতে হয় তাঁকে। শুক্রবার চাষিদের একটি বাজার পরিদর্শন করছিলেন তিনি। কৃষকদের অভিযোগের একটি তালিকা নিয়ে কৃষিজ উত্পাদক বাজার কমিটির সদস্য সুলতান সিংয়ের কাছে গিয়েছিলেন সোনালি। অভিযোগ, আপত্তিজনক মন্তব্য করেন সুলতান সিং। তখনই প্রচণ্ড রেগে গিয়ে সোনালি ফোগাত ওই আধিকারিককে মারধর ও গালি দেওয়া শুরু করেন। নিজের চটি খুলে সুলতান সিংকে প্রকাশ্যেই মারতে থাকেন বিজেপির সোনালি ফোগাত।
ভিডিওতে ধরা পড়েছে এই ঘটনাটি। চটির মার খেতে খেতে ওই আধিকারিককে অনুরোধ করে বলতে শোনা যায় যে, তিনি অভিযোগগুলি নজরে রেখেছেন এবং সমস্যার সমাধান করবেন। সোনালি ফোগাত পরে পুলিশকে ফোন করেন। সূত্রের খবর, ওই আধিকারিক ক্ষমা চাওয়ার পরে তিনি আর অভিযোগ দায়ের করেননি। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরকে বিজেপির এই টিকটক তারকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
“খত্তর সরকারের ন্যক্কারজনক কাজ! আদমপুর, হিশারের বিজেপি নেতা পশুর মতো বাজার কমিটির সচিবকে মারছেন। সরকারি কর্মী হওয়া কি অপরাধ? খট্টর সাহেব কি ব্যবস্থা নেবেন? মিডিয়া কি নীরব থাকবে?" হিন্দিতে টুইট করেছেন তিনি।
টিকটকের জনপ্রিয় বিনোদনকারী সোনালি ফোগাত হরিয়ানা নির্বাচনে কংগ্রেসের কুলদীপ বিষ্ণোইয়ের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন একটি সমাবেশেও তাঁর মন্তব্যে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিল। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “যারা ‘ভারত মাতা কি জয়' বলতে পারেন না তাদের কোনও দাম নেই।”
“আপনারা কি সবাই কি পাকিস্তানি? আপনারা যদি ভারতীয় হন তবে ভারত মাতা কি জয় বলুন,” একটি ভিডিওতে সোনালি ফোগাতকে বলতে শোনা যায়। যখন কেউই তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে জয়ধ্বনি করলেন না তখন উত্তেজিত হয়ে টিকটক তারকা বলেন, “আপনাদের জন্য লজ্জা হচ্ছে... আপনাদের মতো ভারতীয়রাও রয়েছেন... যারা ক্ষুদ্র রাজনীতির জন্য নিজের দেশের জয় উচ্চারণ করতেও পারেন না!... যারা 'ভারত মাতা কি জয়' বলতে পারেন না, তাদের ভোটের কোনও মূল্য নেই।"
গত বছরও শিরোনামে উঠে আসেন সোনালি। নিজের বোন ও শ্যালকের বিরুদ্ধে লাঞ্ছনা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সোনালি।