This Article is From Nov 26, 2019

কমিশনারের অফিসের বাইরে আক্রমণ, শবরীমালা মহিলা যাত্রীর চোখে মরিচ গুঁড়ো

শবরীমালায় তাঁর গন্তব্যে বাধা দিতে ক্যামেরার সামনে চোখে লঙ্কার গুড়ো ছিটিয়ে দিল মন্দিরের এক পুরুষ ভক্ত। এমন লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে পুলিশ কমিশনারের অফিসের বাইরে।

কমিশনারের অফিসের বাইরে আক্রমণ, শবরীমালা মহিলা যাত্রীর চোখে মরিচ গুঁড়ো

Sabarimala: বিন্দু আম্মিনির চোখে লঙ্কার গুঁড়ো

কোচি:

আরও একটি বছর ঘুরতে চলল। তবু শবরীমালায় ঋতুযোগ্যাদের প্রবেশ নিয়ে অশান্তির আঁচ কমল না এতটুকু। বরং, দিন এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে যেন বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠেছে আরও বেশি করে। তারই আঁচ এসে পড়ল কোচি থেকে আসা সমাজকর্মী বিন্দু আম্মিনির ওপর। খবর, শবরীমালায় তাঁর গন্তব্যে বাধা দিতে ক্যামেরার সামনে চোখে লঙ্কার গুড়ো ছিটিয়ে দিল মন্দিরের এক পুরুষ ভক্ত। এমন লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে পুলিশ কমিশনারের অফিসের বাইরে। প্রত্যক্ষদর্শীর মোবাইলে তোলা ভিডিও দেখে জানা গেছে পুরো ঘটনা। ভিডিওয় দেখা গেছে, বিন্দু যখন নিজের চোখ-মুখ মুছতে ব্যস্ত সেই সময়ে পালিয়ে যায় আক্রমণকারী। গুরুতর আহত অবস্থায় আম্মিনিকে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। ভিডিও সোশ্যালে শেয়ার হতেই ধিক্কার জানিয়েছেন অসংখ্য নেটিজেন।

অযোধ্যা নিয়ে মুখ খুললেন নাসিরুদ্দিন শাহ, শাবানা আজমি সহ ১০০ জন মুসলিম ব্যক্তিত্ব

অ্যাক্টিভিস্ট ত্রুপ্তি দেশাইও পশ্চিম ঘাট পর্বতের ওপর অবস্থিত মন্দিরে অধিষ্ঠাতা আইয়াপ্পা দর্শনে ফের ফিরে এসেছেন কেরালায়। তিনি আরও পাঁচ জন ঋতুযোগ্যাকে নিয়ে দেবমন্দিরে পা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিকে, ত্রুপ্তি কোচি বিমানবন্দরে নামতেই কেরালা সরকারের ঘোষণা, তাঁকে কোনও সুরক্ষা বা সাহায্য দেওয়া হবে না। প্রত্যুত্তরে মহিলা সমাজকর্মী বলেন, "আজ সংবিধান দিবস। গণতন্ত্র এবং সংবিধানের আদর্শ-সম্মান উদযাপনের দিন। তাই আজকেই আমরা শবরীমালা মন্দির পরিদর্শন করব। রাজ্য সরকার বা প্রশাসন, কেউই মন্দিরে যেতে বাধা দিতে পারবে না।" একই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, পুজো দিয়ে তারপর মন্দির চত্বর ছাড়বেন তিনি।

বিন্দু আম্মিনির ওপর আক্রমণের ঠইক আগেই ওই ছয় শবরীমালা যাত্রী ছিলেন পুলিশ কমিশনারের অফিসে। তাঁদের ওপর হামলা হতে পারে, কমিশনারকে জানিয়েছিলেন দেশাই।

Constitution Day 2019: কেন পালিত হয় সংবিধান দিবস?

প্রসঙ্গত, ২০১৮-য় এক ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করেছিল, এবার সব বয়সের ঋতুযোগ্যাদের জন্য খুলে দেওয়া হবে শবরীমালা মন্দিরের দরজা। প্রাচীন সংস্কার অনুযায়ী এতদিন ব্রহ্মচারী আয়াপ্পার মন্দিরে শুধুই প্রবেশাধিকার ছিল পুরুষ ভক্তদের। সেই সংস্কারে আঘাত লাগতেই ক্ষেপে ওঠেন তাঁরা। আর সুপ্রিম রায়কে হাতিয়ার করে এরপরেই দলে দলে শবরীমালা মন্দিরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন ঋতুযোগ্যারা।  সেই সময় পুরুষ ভক্তদের রোষের হাত থেকে বাঁচাতে কেরল সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, পাম্বার বেস ক্যাম্প থেকে মন্দির পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হবে মহিলাদের ।

ঘটনা প্রসঙ্গে ত্পুপ্তি দেশাইয়ের দাবি, কিছু পুরুষ ভক্ত তাঁর গাড়ির নম্বর নোট করেছেন। এভাবেই ঠিক এক বছর আগে পুণে থেকে আসা একদল মহিলা যাত্রীকে শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশে বাধা দিয়েছিলেন একদল ক্ষিপ্ত প্রতিবাদকারী। 

.